দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে মলদ্বীপের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ হাসানের ডাকে সাড়া দিলেন না প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদ। স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পর প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আরও সাত প্রতিনিধিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করলেন। এঁদের মধ্যে দেশের প্রাক্তন ‘স্বৈরাচারী’ প্রেসিডেন্ট মামুল আব্দুল গায়ুমের মুখপাত্রও যেমন রয়েছেন, তেমনই মন্ত্রিসভার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছেড়ে রাখা হয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদের দল মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যদের জন্য। সেই সঙ্গে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এই প্রথম নিযুক্ত হয়েছেন এক মহিলা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ যতই তাঁর উত্তরসূরির বিরোধিতা করুন, প্রেসিডেন্ট মহম্মদ হাসান কিন্তু ক্রমেই ‘রাজনৈতিক ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে নিজের আসন পাকা করার পথেই হাঁটছেন।
কালই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মলদ্বীপ আসেন মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব রবার্ট ব্লেক। প্রেসিডেন্ট এবং বিরোধী নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করার পর দিনই এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ হাসান।
বস্তুত, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সরকার গড়ার যে প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট দিয়েছিলেন, তাকেই সমর্থন জানান ব্লেক। প্রেসিডেন্ট হাসান জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে সাড়া দিয়েছে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। প্রাক্তন ‘স্বৈরাচারী’ প্রেসিডেন্ট মামুল আব্দুল গায়ুমের মুখপাত্রকেও সামিল করা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। আবার বিদেশ এবং অর্থ মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছেড়ে রাখা হয়েছে নাসিদের দলের জন্য।
তবে, এই প্রস্তাবে সাড়া তো দেনইনি বরং এই সরকারের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নাসিদ। এখনও তাঁর অবস্থানে অনড় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। নাসিদ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন দূতের পরামর্শ মতো তিনি সমঝোতার রাস্তায় হাঁটছেন না। পাশাপাশি, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এ-ও বলেছেন, দেশের এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার সময় ভারতের ভূমিকাতেও তিনি যথেষ্ট হতাশ। তাঁর অভিযোগ, সব কিছু জানার পরও নয়াদিল্লি সমস্যা মেটাতে যথার্থ পদক্ষেপ করেনি। নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিতে গত রাতে রাজধানী মালে শহরে নাসিদ একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত ভোট চাই। এর জন্য নিরন্তর প্রচার চালাব।” পাশাপাশি তিনি ফের জোর করে তাঁকে পদ থেকে সরানোর অভিযোগ করেন। |