সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আউশগ্রামের কালিদহ গ্রামে। ঘটনায় জখম হন দু’জন। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দলের আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে এ দিন গ্রামে মিছিল করছিল সিপিএম। দলের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদারের দাবি, পুলিশের সামনেই এ দিন তাঁদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বীরভূমের পাকুড় থেকে বেশ কিছু বহিরাগতকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা বোমাবাজি করতে করতে হামলা চালায়। অচিন্ত্যবাবু জানান, হামলায় কৃষকসভার নেতা লুৎফর রহমান খাঁ ও বাসুদেব বারিক আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় বন নবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
অচিন্তবাবুর অভিযোগ, “পুলিশের সামনেই এ দিন লাঠি, পাইপগান ইত্যাদি নিয়ে আমাদের মিছিলে চড়াও হয় দুষ্কৃতীর। স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতা এই হামলায় নেতৃত্ব দেন। হামলায় আমাদের অন্তত ২০ জন জখম হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ হামলাকারীদের বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল।” তিনি জানান, এই ঘটনার ব্যাপারে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ করবেন তাঁরা।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ মির্জা বলেন, “পুলিশ সিপিএমের মিছিলের পিছনে ছিল। কালিদহের কাছে কিছু লোক মিছিলের পথ অবরোধ করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তাতেই অশান্তি দেখা দেয়। পুলিশ হামলাকারীদের তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে এলাকার একটি মাঠে কয়েকটি বোমা ফাটানো হয়। এই ঘটনায় কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে রয়েছে। তবে এই হামলা সম্পর্কে কোনও অভিযোগ এখনও দায়ের করা হয়নি।”
জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) সুভাষ মণ্ডলের অবশ্য পাল্টা দাবি, “নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতেই তৃণমূলের নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে সিপিএম। এই হামলায় ওদের লোকেরাই জড়িত।” তৃণমূলের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি, “সিপিএমের উপর মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ যে বাসিন্দারা কালিদহ দিয়ে মিছিল যেতে দিতে চাননি। তারই জেরে গোলমাল বেধেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দাকে সিপিএমের লোকেরা মারধর করায় উত্তেজনা ছড়ায়।” |