রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল ২৩ তম রানিগঞ্জ বইমেলা নিয়ে। সিপিএম নেতা তথা রানিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনুপ মিত্র সরাসরি অভিযোগ করেছেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আমন্ত্রণ পত্রে নাম ছাপা হয়েছে তাঁর। তাঁর আরও অভিযোগ, “গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ এই মেলার সূচনা করেছিল। এখন অন্য কমিটি এই মেলা করছে। তাহলে তাকে ‘২৩ তম’ বলে দাবি করা ঠিক নয়।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে রানিগঞ্জের সার্কাস ময়দানে। অনুপবাবু এ কথা বললেও গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের আঞ্চলিক সভাপতি বাসুদেব মণ্ডল চট্টোপাধ্যায় নতুন মেলা কমিটিতে স্মরণিকা কমিটির অন্যতম দায়িত্বে এবং আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা কমিটির বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত। আব্দুস সামাদ এবং হরিশঙ্কর তিওয়ারির মতো লেখক শিল্পী সঙ্ঘের প্রবীণ সদস্যদের এ বার মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আলোচনা সভায় সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এ’বিষয়ে অনুপবাবুর মন্তব্য, “ওঁরা ব্যক্তিগত ভাবে মেলায় আছেন। সংগঠনগত ভাবে নয়।” শম্ভুনাথবাবু অবশ্য বলেছেন, “১৯৮৩ সালে রানিগঞ্জ সাংস্কৃতিক সমন্বয় কমিটি এই মেলা শুরু করেছিল। কয়েক বছর পরে গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ বইমেলা আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা নেয়। সহযোগিতা করেছিল রানিগঞ্জ পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি।” তিনি জানিয়েছেন, এ বারের মেলা কমিটি তাঁর কাছে পরামর্শ চেয়েছিল। তিনিও এক জন সংস্কৃতিপ্রেমী হিসাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সংগঠন গত ভাবে তিনি এখানে যুক্ত নন। তবে সংগঠনের অন্য কেউ গেলেই বা বাধা কোথায়? এ দিকে, এ বারের মেলা কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা বিধায়ক সোহরাব আলির কথায়, “এত দিন মেলা সবাইকে নিয়ে করা হত নাকি সিপিএম মেলা পরিচালনা করত! গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের অন্যতম সদস্য মেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি। অনুপবাবুর অনুমতি নিয়েই তাঁর নাম ছাপা হয়েছে। এখন তিনি যা বলছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। ‘ইগো’ ছেড়ে অনুপবাবু যেন মেলায় আসেন।” |