প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিষেবা দিতে হয় তাঁদের। কিন্তু নেই উপযুক্ত পরিকাঠামো। সাকুল্যে তিনটি ইঞ্জিন নিয়েই কাজ চালাতে হয়। আসানসোলের দমকল বিভাগের এই বেহাল দশা দূর করতে পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সেলিম জাভেদ আহমেদ খান। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দমকল বিভাগকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জামুড়িয়ার একাংশ ও আসানসোল, হিরাপুর, কুলটি, বরাকর, সালানপুর, বারাবনি, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার আগুন নেভানোর কাজ করতে হয় আসানসোল দমকল বিভাগকে। গত দশ বছরে আসানসোলের জনসংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুন। নির্মাণ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বহুতল। একাধিক বড় শপিং মল তৈরি হয়েছে। এর ফলে দমকলের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনও বেড়েছে। বহুতলে আগুন নেভানোর জন্য যে পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা আসানসোল দমকল বিভাগের নেই। আধিকারিকেরা জানান, ইতিমধ্যেই দমকলের ইঞ্জিন বাড়ানোর পাশাপাশি বহুতলের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একটি হাইড্রোলিক সিঁড়ির ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। আসানসোল শহরের মধ্যে আরও কয়েকটি জলাধার গড়ার আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকারের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আসানসোলে একটি বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সেলিম জাভেদ আহমেদ খান। তখনই তিনি আসানসোল দমকল বিভাগের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা শোনেন। মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের একাধিক দমকল বিভাগের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে আসানসোলের নামও রয়েছে।” দমকল মন্ত্রী জানান, আসানসোল পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি রূপায়িত হবে। |