চাঁদা না-পেয়ে কলেজ শিক্ষককে হুমকির অভিযোগ দায়ের করার পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগই নেয়নি পুলিশ।
জেলা পুলিশের এই ‘একপেশে’ মনোভাবে শুধু শিক্ষক মহলই নয়, ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূলেরও একাংশ। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষাকর্মী তথা তৃণমূল নেতা তপন নাগ এ দিন পাল্টা তোপ দেগেছেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হলে ওই শিক্ষক বাবুলাল বালা এবং দেবাশিস বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করতে হবে।” রায়গঞ্জের ডিএসপি অম্লান ঘোষ বলেন, “পুলিশ দু’তরফের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না মিললে মামলা শুরু করব কী করে!” ডিএসপি বলেন, “তপনবাবু ওই শিক্ষকের কাছে যে টাকা চেয়েছিলেন তার সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি। তেমনই ওই দুই শিক্ষক বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি।”
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের তরফেও এ দিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না। দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “দলের কোনও নেতা-কর্মী চাঁদা আদায়ের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা পুলিশকে দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহার অভিযোগ, তপনবাবু এবং দুই কলেজ শিক্ষক, সকলেই তৃণমূলের ঘনিষ্ট। থানায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা পড়লেও পুলিশ কোনও মামলা শুরু করেনি। তাঁর কথায়, “পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।” |