পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বই না-পৌছনোয় আলিপুরদুয়ার শহর এলাকার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়েছেন। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরাও। মার্চ মাস থেকে স্কুলগুলিতে শুরু হতে চলেছে ইউনিট টেস্ট। এই পরিস্থিতিতে বই না পৌঁছনোয় প্রস্তুতি ছাড়া ছাত্রেরা পরীক্ষায় বসবে কী করে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। আলিপুরদুয়ারের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রেমকুমার কামতি সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন ১৩টি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির জন্য প্রায় ৪ হাজার ইংরেজি বই প্রয়োজন। প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন এখনও বই আসেনি।”
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হলেও স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণির নতুন সংস্করণের ইংরেজি বই এখনও পৌছয়নি। মার্চ মাস থেকে স্কুলগুলিতে শুরু হচ্ছে ইউনিট টেস্ট। বই না-পড়ে ছাত্ররা খাতায় কী লিখবে সেটাই শিক্ষকরা বুঝে উঠতে পারছেন না। আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তুনু দত্ত বলেন, “স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে ২৬৫ জন ছাত্র। এখনও ওই পড়ুয়ারা ইংরেজি বই পায়নি। অথচ নতুন সংস্করণের ইংরেজি বই পড়ানোর বিষয়ে শিক্ষা দফতরের নির্দেশ রয়েছে। বুঝতে পারছি না কেমন করে ইউনিট টেস্ট নেওয়া হবে।” কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকরা বাইরে থেকে পুরনো বই সংগ্রহ করে ছাত্রদের পড়ানোর চেষ্টা করছেন। আলিপুরদুয়ার গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কুমকুম চক্রবর্তী বলেন, “নতুন সংস্করণের বই না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত বছরের পুরনো বই ছাত্রীদের জোগার করে দিয়েছি।”
শুধু পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বই নয়। কয়েকটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ও অঙ্ক বই-ও পৌছয়নি। যেমন, শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যামন্দির। ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ও অঙ্ক বই পাননি। পুরনো বই দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও হিন্দি মাধ্যমের স্কুল সেন্ট জোসেফ হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির অঙ্ক ও হিন্দি বই পৌছয়নি। অভিভাবকদের অভিযোগ, ক্লাস চালু রাখার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরনো বই পড়াচ্ছেন। ছাত্রদের লাভ হচ্ছে না। কারণ, নতুন সংস্করণে বইয়ের অনেক অধ্যায় বদলে ফেলা হয়েছে। |