ধান কেনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকাই দেয়নি বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে জুনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে নামলেও এখনও তাতে গতি আসেনি। ধানের দাম না পেয়ে একের পর এক চাষির আত্মহত্যার অভিযোগও উঠেছে। শনিবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এক হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলেও কেন্দ্র ধান কেনার জন্য একটি পয়সাও দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যে ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, তার উপরে ভরসা করেই ধান কেনা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধান কেনার সময় রয়েছে। তবে জুনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ধান কেনা হবে।” মুর্শিদাবাদ থেকে বর্ধমান, বিভিন্ন এলাকায় ধান বিক্রির পরে চালকলের দেওয়া প্রচুর চেক বাউন্স করেছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “মোট ২২টি অভিযোগ পেয়েছিলাম। ১৯টি ক্ষেত্রে চেকে সই মেলেনি। ৩টি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” ছয় জেলার লক্ষ্যমাত্রা কতটা পূরণ হয়েছে, বৈঠকে তার খতিয়ান নেন তিনি। প্রতি জেলায় দফতরের খাদ্য মজুত করার নিজস্ব গুদাম তৈরির কাজে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সে খোঁজও নেন।
জ্যোতিপ্রিয়বাবুর আশ্বাস, রাজ্য জুড়ে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুত করার জন্য গুদাম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতি ব্লকে ৩ হাজার টন ক্ষমতার গুদাম তৈরি হবে। দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংগৃহীত ধান থেকে চাল তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট এলাকার রেশন দোকানগুলিতে সরবরাহ করা হবে। মন্ত্রীর দাবি, “বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যে ধানের গুদামগুলির ক্ষমতা ছিল ৫০ হাজার টন। আমাদের পরিকল্পনা সফল হলে ধান কেনা নিয়ে আর কখনও সমস্যা হবে না।”
রাজ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২৬০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মোট ১ কোটি ৯ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ২০ লক্ষ ভুয়ো কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটাও চেষ্টা চলছে।” বন্ধ চা বাগানের সমস্ত শ্রমিককে বিপিএল কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “বাগান খোলার পরে দু’বছর পর্যন্ত শ্রমিকেরা ওই সুবিধা পাবেন।” |