দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মেরে মৃত্যু হল একটি দুধের গাড়ির দুই সওয়ারির। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সিঙ্গুরের সাহানাপাড়ায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সুকুমার বাগ (১৯) এবং অভী বাগ (২১)। দু’জনেরই বাড়ি ধনেখালির বেলমুড়ি জেলেপাড়ায়। অভী গাড়িটির কর্মী। সুকুমার ডেয়ারির কর্মী। অন্য দিকে, শনিবার ভোরে নদিয়ার শন্তিপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পিছনে পাথর বোঝাই একটি লরি ধাক্কা মারলে দু’জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের নাম গৌর মণ্ডল (৩২) ও লক্ষণ সরকার (২৮)। পুলিশ জানায়, বাসের ছাদ থেকে ওই দুই যুবক কাপড়ের গাঁট নামাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত অন্য এক জনকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে।
শুক্রবার রাতে সিমেন্ট-বোঝাই একটি ট্রাক দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে সাহানাপাড়ায় এক্সপ্রেসওয়ের ধারে দাঁড়ায়। ট্রাকের লোকজন স্থানীয় একটি হোটেলে রাতের খাওয়া সেরে বিশ্রাম করছিলেন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দাদপুরের মাকালপুরের ডেয়ারি থেকে একটি দুধের গাড়ি শ্রীরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ট্রাকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই সুকুমার এবং অভীর মৃত্যু হয়। চালক চোট পান। পুলিশ সিঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডানকুনি থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। প্রতিদিনই এ ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। শুক্রবারের রাতের দুর্ঘটনাটিও ঘটেছে সেই কারণে। ঘটনাস্থলের লাগোয়া জায়গায় সার্ভিস রোড রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটির চালক সেই রাস্তাটি ব্যবহার করেননি।‘বেআইনি’ ভাবে রাস্তার ধারে পার্কিং বন্ধ করতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয় না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তার ফলেই শুক্রবার রাতে বেঘোরে দু’টি প্রাণ গেল। সিঙ্গুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস লাগোয়া আলুর মোড়ের এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে আলুর গাড়িগুলি বেআইনি ভাবে দিনরাত দাঁড়িয়ে থাকে। আলু ট্রাকে তোলা থেকে নামোনো সবই হয় রাস্তার উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে।” হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন,“হাইওয়েতে ট্রাফিক পুলিশের পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। এই ব্যাপারে জেলা পুলিশের তরফে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” |