মহেশ ভূপতি, সোমদেব দেববর্মনের পরে আমেরিকান কলেজিয়েট টেনিসের তৃতীয় ফসল কি ভারতীয় টেনিসকে এ বার সেবা করতে আসছে? সিনিয়র পর্যায়ে জীবনের প্রথম গ্রাসকোর্ট টুর্নামেন্টে নেমেই জাতীয় খেতাব জয়ী বিশাখাপত্তনমের সাকেত মাইনানি-র সঙ্গে শনিবার সাউথ ক্লাবে কথা বলে তেমনই মনে হল। ছ’ফুট চার ইঞ্চির সার্ভ, রিটার্ন, গতি, কোর্টের দু’প্রান্তেই বারবার শট খেলা দেখে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বললেন, “একে ডেভিস কাপ দলে নিলে আমাদের দ্বিতীয় সিঙ্গলস প্লেয়ারের সমস্যা মিটতে পারে।”
পনেরোতে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হয়ে তার পরের বছর অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয় চলে যান। পাঁচ বছর পর
|
চ্যাম্পিয়ন সাকেত |
২০১১-তে ‘ফিনান্স অ্যান্ড ইকনমিক্স’-এ স্নাতক হয়ে দেশে ফেরার পাশাপাশি ইউএসটিসি-তে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় বারে চার বার চ্যাম্পিয়ন করেন। “হায়দরাবাদে স্কুল অব পাওয়ার টেনিসে সিভি নাগরাজের কাছে ট্রেনিং করলেও মূলত আমেরিকা থেকেই আমার টেনিস প্লেয়ার হিসেবে অন্য চেহারায় ফেরা।” এ দিন জাতীয় গ্রাসকোর্ট টেনিস ফাইনালে একই অ্যাকাডেমির সুরেশ কৃষ্ণকে ৬-৩, ৬-৪ প্রায় উড়িয়ে দেওয়ার পর বললেন বছর বাইশের সাকেত। যিনি আমেরিকান কলেজ টেনিস ছেড়ে ফেরার দু’মাসের মধ্যে গত নভেম্বরে প্রথম আন্তর্জাতিক খেতাব জেতেন, চেন্নাইয়ে আইটিএফ ফিউচার্সে। সব সারফেসেই খেলতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন দাবি করে সাকেত জানাচ্ছেন, লি-হেশরা সবাই তাঁর কাছে প্রেরণার। কোনও নির্দিষ্ট ভারতীয় আইডল নেই তাঁর। আন্তর্জাতিক স্তরে আছে আন্দ্রে আগাসি। “তবে সেটা ওঁর কোর্টের ভেতরের কাজের জন্য। বাইরের বিতর্কের জন্য নয়,” বলে নতুন জাতীয় টেনিস চ্যাম্পিয়ন প্রায় ঘোষণার ঢঙে যোগ করলেন, “আমার পরের লক্ষ্য ভারতীয় ডেভিস কাপ দলে ঢোকা। কারণ আজ থেকে আমি ভারতীয় টেনিসের হল অব ফেম-এ ঢুকে গেলাম।”
জাতীয় টেনিসের ‘হল অব ফেম’-এ তো ঢুকে গেলেন রুশ্মি চক্রবর্তী-ও। ৩৩ বছরে নিজের অর্ধেক বয়সের প্রতিপক্ষকে তিন ঘণ্টারও উপর লড়ে হারিয়ে। সানিয়া মির্জার শহরের ষোড়শী বৈষ্ণবী রেড্ডিকে ৬-৭ (৩-৭), ৭-৬ (৭-২), ৭-৫ হারিয়ে তামিলনাড়ুর রুশ্মি ষষ্ঠ বার জাতীয় সেরা হলেন, মোট ৯ বার ফাইনালে উঠে। টেনিস অ্যাকাডেমি খুলে যিনি এখন ভবিষ্যতের রুশ্মি তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন! |