রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। এখন পর্যন্ত ধোনিরা একটা ম্যাচ জিতেছে। একটা হেরেছে। অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে ভাল ব্যাটিং উইকেটে এ বার খেলার সুযোগ পাচ্ছে ওরা। দেখতে চাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামছে। টেস্ট সিরিজের সময় কিন্তু প্রথম তিনটে টেস্ট হারার পর ব্যাটিং উইকেটেও ওরা দাঁড়াতে পারেনি। আশা করব সেই ভুলটা আর ধোনির টিম করবে না কারণ, এই ম্যাচটায় ভাল করা গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের টিমগুলোর মধ্যে কিন্তু খুব বেশি তফাত নেই। একমাত্র অস্ট্রেলীয় বোলিংটাই অন্যদের চেয়ে অনেক ভাল। এমনকী লম্বা শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংকেও ওদের বিরুদ্ধে নড়বড়ে দেখাল। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ শেষের দিকে দারুণ খেলেও টিমকে জেতাতে পারল না। আমার মনে হচ্ছে, এই টুর্নামেন্টে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যারা শেষ পর্যন্ত শারীরিক এবং মানসিক কাঠিন্য ধরে রাখতে পারবে তারাই ফাইনাল খেলবে।
কোহলিকে নিয়ে ভারতের নিশ্চয়ই চিন্তা থাকবে। ও ভাল ব্যাটিং করছে। রবিবারের আগে ওর ফিট হয়ে যাওয়াটা খুব দরকার। এই টুর্নামেন্টে ধোনিদের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে কোহলির ওপর। ভারতীয়রা রোটেশনের কথা বলছে। সচিনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে এমনও শোনা যাচ্ছে। তবে সন্দেহ আছে সেটা শেষ পর্যন্ত করা হবে কি না। সচিনের কেরিয়ার যদি কেউ খেয়াল করে তা হলে দেখতে পাবে যে, কোনও টুর্নামেন্টে সচিন খেলছে মানে ও খেলেই যাবে। যত মাঠের মাঝখানে সময় কাটাবে ও, তত ওর খেলা খুলবে। বিশ্বাস করতে রাজি নই যে, সচিন নিজে থেকে বিশ্রাম নিতে চাইবে। বিশেষ করে অ্যাডিলেডের এমন ব্যাটিং উইকেটে। আর সচিন নিজে যদি খেলতে চায়, তা হলে ধোনির পক্ষেও ওকে বাইরে রাখা খুব কঠিন হবে।
সহবাগের ফর্ম নিয়ে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। ওয়ান ডে-তে ওর ধারাবাহিকতার অভাব এখনও সকলের কাছে রহস্য। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখা উচিত সহবাগের যে, আমি কি ওয়ান ডে-তে সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট মনোযোগ আর প্রতিজ্ঞা দেখাচ্ছি?
ধোনির রোটেশন পদ্ধতির সঙ্গে আমি একমত আর ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি মনোজ তিওয়ারিকে খেলানো উচিত। না হলে মনোজের কাছে এখন যে বার্তাটা পৌঁছচ্ছে সেটা হচ্ছে, চাপের মুখে একটা সেঞ্চুরিও এই ব্যাটিং লাইন-আপে আরও পাঁচটা ম্যাচ খেলার লাইসেন্স দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। আর কোন ব্যাটিং লাইন-আপ? না, যেখানে হালফিলে খুব বেশি সেঞ্চুরি করতে কাউকে দেখা যায়নি। সেই কারণেই আমি মনে করি সুরেশ রায়নার আগে মনোজকে সুযোগ দেওয়া উচিত। রায়নাকে টিমগুলো বাউন্স করিয়ে আউট করে দিচ্ছে। বার বার একই ভাবে আউট হচ্ছে ও।
অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে হাসিকে খেলাচ্ছে না। মিচেল মার্শের সঙ্গে তরুণ ফরেস্টারকে সুযোগ দেবে বলে। যার জন্য ভারতীয় পেসারদের সামনে একটা সুযোগ থাকছে শুরুতে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংকে আক্রমণ করার। তখন আবার ওদের মিডল-অর্ডারের ওপর চাপ তৈরি হবে। আর মিডল-অর্ডার বলতে তো সেই পন্টিং আর ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়াকে দেখে কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওরা সব ধরনের ক্রিকেটে নতুন রক্ত আনতে চাইছে। আমার মনে হয় এটা ভারতের জন্যও একটা উদাহরণ। আমাদেরও একই রাস্তায় হাঁটা উচিত। |