ওপারাদের নাচিয়ে হারাল লাজং
ইস্টবেঙ্গল-১ (টোলগে)
লাজং-২ (ইউজিন, জন)
তিন পয়েন্ট তো দূরের কথা, এক পয়েন্টও জুটল না। শিলংয়ে এগিয়ে থেকেও লাজংয়ের কাছে ১-২ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালই করেছিলেন মেহতাব-সঞ্জুরা। ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে টোলগের গোল। মিনিট কয়েক পরে বিপক্ষের বক্সের সামনে ওয়াল খেলে আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি রবিন-টোলগের। কিন্তু লাজংয়ের পাঁচ মিনিটের ঝড়ের ধাক্কায় আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। দুর্দান্ত দুটো গোল লাজং অধিনায়ক জন মেয়োগা এবং মিডফিল্ডার ইউজিনের। ইউজিন তো ওপারার নেতৃত্বে লাল-হলুদ ডিফেন্সকে কার্যত নাচিয়ে গোল করলেন। ৯০ মিনিটের ম্যাচের ভাগ্য ১৫ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল। আরও বেশি গোলে ইস্টবেঙ্গল হারলেও কিছু বলার ছিল না। ম্যাচের পরে লাল-হলুদ কোচ মর্গ্যান বললেন, “এই ম্যাচের পরে আমাদের চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন দেখা আরও কঠিন হয়ে গেল। কিন্তু এটাও সত্যি, ফুটবলে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী হয় না।”
আগের ম্যাচে চার্চিল আর ডেম্পোর পয়েন্ট নষ্টে একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। শনিবারের ম্যাচটা ছিল টোলগেদের লিগ খেতাবের দৌড়ে টিকে থাকার যুদ্ধ। লাজংয়ের কাছে হেরে সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং টোলগেরাই। এ দিন অবশ্য কোনও একজনের দিকে আঙুল তোলা যাচ্ছে না। পুরো টিমই খেলতে পারেনি। স্ট্রাইকারদের সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী থাকলে, ডিফেন্ডাররাও সমান ব্যর্থ। প্রথম দলের কয়েকজন নিয়মিত ফুটবলাররা দলে না থাকলে যা হয় আর কী! সদ্য চোট সারিয়ে মাঠে নামা রাজু গায়কোয়াড়কে একেবারেই ছন্দহীন দেখাল ওপারার পাশে। দুই স্টপারের মধ্যে মারাত্মক বোঝাপড়ার অভাব। লাজং কোচ প্রদ্যুম রেড্ডি যার সুযোগ নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। ইস্টবেঙ্গলের গোলের পরেই যেন আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লাজং। বক্সে ক্রমাগত আছড়ে পড়া আক্রমণের স্রোত বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি মর্গ্যানের দুর্বল রক্ষণ।
লাজংয়ের স্কোরলাইনে দুই বিদেশির নাম থাকলেও, ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পিছনে আরও একজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রাক্তন লাল-হলুদ ফুটবলার সুশীল সিংহ। ম্যাচের পরে যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রদ্যুম। টিভি-তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখতে দেখতে শিলং থেকে ফোনে বললেন, “অনেকটা জায়গা নিয়ে অসাধারণ খেলল সুশীল। ও-ই আমার বিদেশিদের গোল পেতে সুবিধা করে দিল।”
কী দাঁড়াল? আই লিগ আর ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে সেই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ ফিরে এল। মর্গ্যানের এখন বড় কোনও অঘটনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী?

ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, সৈকত, রাজু, ওপারা, রবার্ট, মেহতাব, সুশান্ত, পাইতে, সঞ্জু, রবিন, টোলগে।

রবিবারে আই লিগ ফুটবল
ডেম্পো: পৈলান অ্যারোজ (যুবভারতী, ২-০০)
প্রয়াগ ইউনাইটেড: পুণে এফসি (পুণে)
সালগাওকর: স্পোর্টিং ক্লুব (মারগাও)
এয়ার ইন্ডিয়া: চিরাগ কেরল (পুণে)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.