দুর্নীতির কারণে শাস্তি পাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে বিহারে। প্রথমে আট বিডিও, তার পর আরও এক বিডিও-র পরে এ বার মগধ রেঞ্জের ছয় পুলিশ অফিসারের চাকরি গেল ঘুষ নেওয়ার অপরাধে। প্রশাসনিক তদন্তের পর এই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই মগধ রেঞ্জের ডিআইজি এন এইচ খান ওই ছয় পুলিশ অফিসরাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস ধরিয়েছেন।
এই পুলিশ অফিসাররা ঔরঙ্গাবাদ এবং গয়া এলাকার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। ডিআইজি বলেন, “এঁঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভিজিল্যান্সের হাতে এরা ধরা পড়েন। এর পর বিভাগীয় প্রশাসনিক তদন্তে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। গয়ার সিনিয়র পুলিশ সুপারের পাঠানো সুপারিশের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
যে ছয় পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন-- এসআই নওরঙ্গী বৈঠা, এসআই অজয় কুমার সিংহ, এআই শিব কুমার প্রসাদ সিংহ, এএসআই নগেন্দ্র প্রতাপ সিংহ, এএসআই বিন্ধেশ্বরী পাণ্ডে এবং এএসআই রাম নারায়ণ সিংহ। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, নওরঙ্গী বৈঠা যখন ঔরঙ্গাবাদ জেলার কসমা থানায় দায়িত্বে ছিলেন, সেই সময় দেবেন্দ্র গিরি নামে এক ব্যক্তির থেকে ৯ হাজার টাকা ঘুষ চান তিনি। ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই পুলিশ অফিসার। অজয় কুমার সিংহ একই ভাবে ওই জেলার হাসপুরা থানার দায়িত্বে থাকার সময় ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন। শিব কুমার প্রসাদ ১৫০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অপরাধে চাকরি খোয়ালেন। নগেন্দ্র প্রতাপ এক পথ দুর্ঘটনার মামলায় তিন হাজার টাকা নেওয়ার অপরাধে ধরা পড়েন। গয়ার বেলাগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন বিন্ধেশ্বরী পাণ্ডে জমির সমস্যা মিটিয়ে দেবেন বলে দু’হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন। ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ওই পুলিশ অফিসারদের সতর্ক না করে চাকরি থেকে বরখাস্ত কেন করা হল? ডিআইজি বলেন, ‘‘রাজ্য দুর্নীতির ব্যাপারে কড়া মনোভাব নিয়ে চলছে। সকলেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। প্রশাসনের যে কেউ অন্যায় ভাবে চললে এবং তাঁদের দুর্নীতি প্রমাণিত হলে রেয়াত করা হবে না। এটাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত।” |