প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয় সচেতনতা গড়ে তুলতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সংস্থার ধারণা, এতে ব্যাঙের ছাতার মতো গ্রাম গঞ্জে গজিয়ে ওঠা চিটফান্ডের মত আর্থিক সঞ্চয় সংস্থা এবং মহাজনী সুদের কারবারের কবল থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে আনার সম্ভবনা উজ্জ্বল হবে। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নারই গ্রামে এক বিশেষ সচেতনতা শিবির হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্যোগে। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন নারই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর কমলেশচন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “চিটফান্ড বন্ধের ব্যাপারে আরবিআইয়ের কোনও ভুমিকার প্রয়োজন নেই। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিই তা বন্ধ করতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনগত বিষয় উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে নিয়মিত জানানো হয়।”
ডেপুটি গভর্নরের বক্তব্য, বিভিন্ন এনজিও এবং আর্থিক সংস্থার নাম করে গজিয়ে ওঠা আর্থিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারই আইন করে তা বন্ধ করতে পারে। এ দিনের অনুষ্ঠানে ইউবিআইয়ের চেয়ারম্যান ভাস্কর সেন, নাবার্ডের সিজেএম পদ্মনাভন প্রমুখ কর্তাব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বুনিয়াদপুরে এটিএম কেন্দ্রেরও উদ্ধোধন করেন ডেপুটি গভর্নর। ইউবিআইয়ের চেয়ারম্যান ভাস্করবাবু বলেন, “যে সমস্ত প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগ পান না সেখানে ব্যাঙ্কের শাখা খোলাও সম্ভব নয়। সে সব গ্রামের মানুষের দুয়ারে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা পৌঁছে যাবেন।”
এ দিন নারইকে মডেল গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করে ব্যাঙ্কের তরফে ১০০ শতাংশ মানুষকে ব্যাঙ্ক পরিষেবার আওতায় আনার কর্মসূচি নেওয়া হয়। গোটা দেশে এই ধরনের গ্রামগুলিতে ইউবিআইয়ের এক প্রতিনিধি ইন্টারনেট সংযোগ সম্বলিত যন্ত্র নিয়ে নিয়মিত পৌঁছে যাবেন। ভ্রাম্যমান এই ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে গ্রামবাসীরা হাতে হাতে ঋণ পেয়ে যাবেন। |