|
|
|
|
খাবারে টান, স্কুলে বিক্ষোভ ছাত্রদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রীতিভোজের আয়োজন করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভোজ চলাকালীন দেখা গেল, খাবার কম পড়ছে। দু’চারজনের নয়। একেবারে ৩০০ জনের মতো ছাত্রের খাবার কম! তা নিয়ে হুলুস্থূল বেধে গেল। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই এই ঘটনা। অবশেষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী সকলের সামনে ঘোষণা করেন, “আবারও এক দিন খাওয়ানো হবে।” তার পর বিক্ষোভ থামলেও প্রশ্ন ওঠে, অভুক্ত ছাত্ররা কী করবে? দাবি তোলা হয়, তাদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে। শেষে সবাইকে টিফিন-প্যাকেট দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন প্রধান শিক্ষক। |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবার এই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর টাউন স্কুলে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “১৩০০ ছাত্রের জন্য রান্নার ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। সে ক্ষেত্রে কিছু কম পড়ে গেলে কীই বা করার থাকে।” এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিজেও মর্মাহত। তাঁর কথায়, “খাবার কম পড়াকে কেন্দ্র করে স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এটা ভাবিনি। ছাত্ররা খাবার না পেলে সব থেকে কষ্ট হবে আমারই। তা হয়েছেও। সেই সঙ্গে কিছু ছাত্রকে উস্কানি দিয়ে গুটিকয় মানুষ যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেন তাতে আরও কষ্ট পেয়েছি।” মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রদের বিদায় সংবর্ধনা জানাতে প্রীতিভোজ আয়োজনের রেওয়াজ রয়েছে এই স্কুলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১৩০০। প্রধান শিক্ষকের দাবি, ১৩০০ ছাত্রের জন্যই রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার পর দেখা যায়, প্রায় ৩০০ ছাত্রের খাবার কম পড়ে যাচ্ছে। ভোজ চলাকালীনই কিছু ছাত্র বিক্ষোভ শুরু করে। স্কুলের যে ঘরগুলিতে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেই ঘরগুলির সিলিং ফ্যানের ব্লেডগুলিও বাঁকিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের মধ্যেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অবশেষে আবারও এক দিন ভোজের ঘোষণা ও অভুক্ত ছাত্রদের টিফিনের ব্যবস্থা করায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। |
|
|
|
|
|