নকল রুখতে ভিডিও রেকর্ডিং পরীক্ষা কেন্দ্রে |
বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে টোকাটুকি হয় বলে বদনাম আছে। এই ধরনের পরীক্ষা কেন্দ্রে আচমকা হাজির হয়ে ভিডিও রেকর্ড করার কথা ভাবছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বারের মাধ্যমিকেই এই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। পর্ষদ-কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে পরীক্ষায় টোকাটুকি কমানো যাবে। তবে এই পরিকল্পনা বলবৎ করা যে সহজ হবে না, পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত নিজেই তা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এই পদ্ধতি চালু করতে হলে আর্থিক ও পরিকাঠামোগত যে-সঙ্গতি থাকা দরকার, তা পর্ষদের আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। চৈতালিদেবী বলেন, “পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু কেন্দ্রে এই ব্যবস্থা চালু করার ইচ্ছে আছে। পর্ষদ যখন-তখন পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভিডিও রেকর্ড করবে, পরীক্ষার্থীদের কাছে এই বার্তা গেলেও টোকাটুকি কমবে।” পরীক্ষায় টোকাটুকি এবং তাকে কেন্দ্র করে গোলমালের অভিযোগ আছে, এমন ১১০টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। এই কেন্দ্রগুলি মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ ইত্যাদি জেলায় ছড়িয়ে আছে। চৈতালিদেবী এ দিন বলেন, “ওই সব কেন্দ্রে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের তরফে নজরদারির ব্যবস্থা তো থাকবেই। যাতে গণ্ডগোল না-হয়, সেই জন্য পর্ষদও কড়া নজর রাখবে।”
|
পুলিশ সমিতি উচ্ছেদ স্থগিতই |
স্থগিতাদেশ ছিলই। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ সংগঠনের বিভিন্ন অফিস থেকে তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। ১০ জানুয়ারি রাজ্য সরকার পুলিশ কোনও সংগঠন করতে পারবে না বলে নির্দেশ জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে দু’টি সংগঠন। বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস রাজ্য সরকারকে এ দিন সব তথ্য নিয়ে হাইকোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংগঠনের অফিসঘর উচ্ছেদের উপরে স্থগিতাদেশও দেন। এ দিন সরকারের তরফে ওই মামলার জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি পুনরায় ওই শুনানি হবে। |