এ বার ‘বঙ্গসম্মান’ চালু করছে রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ১৫ জনকে বঙ্গসম্মান দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ইতিমধ্যেই বঙ্গবিভূষণ সম্মান চালু হয়েছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী ‘বঙ্গসম্মান’ চালু করছেন। সে জন্য উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজন, কৃতীদের প্রতি বছর রাজ্য সরকার বঙ্গসম্মান দিয়ে সম্মানিত করবে।” গৌতমবাবু জানান, প্রাপকদের মধ্যে চার জন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন সাহিত্যিক ও রবীন্দ্র গবেষক অশ্রুকুমার শিকদার, পাহাড়ের বিশিষ্ট সাহিত্যক ইন্দ্রবাহাদুর রাই, নাট্য ব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায় এবং অ্যাথলিট হরিশঙ্কর রায়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বাকি যাঁরা সম্মানিত হবেন তাঁদের সকলের নাম মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ঘোষণা করা হবে। তবে ওই তালিকায় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, কবি জয় গোস্বামী, অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় ও চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, গায়ক ও সুরকার নচিকেতা, গায়ক তথা পরিচালক অঞ্জন দত্তের নাম রয়েছে বলে তিনি জানান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “সব সম্মানের ক্ষেত্রেই একটা আর্থিক মূল্য থাকে। এ ক্ষেত্রেও থাকবে।”
এ ছাড়া উত্তরবঙ্গ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে ৪২.৫ কিলোমিটার ‘শিলিগুড়ি ম্যারাথন’ এবং ৭ কিলোমিটার ‘ড্রিম রান’ হচ্ছে বলেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন। পাশাপাশি, উৎসবের শোভাযাত্রা, প্যাভেলিয়নে জাতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের
আরোগ্য কামনা করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার থাকবে। উদ্বোধন করা হবে একটি বিশেষ স্মরণিকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, লোকসংস্কৃতি, সঙ্গীত, খেলাধূলা সব মিলিয়ে উৎসব হবে। সংগ্রহে রাখার মতো একটি বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ৭০টি ক্লাবকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ওই প্রতিটি ক্লাবকে ১৫টি ট্র্যাকস্যুট দেওয়া হচ্ছে।
এ দিন উত্তরবঙ্গ উৎসব ও ভাওয়াইয়া উৎসবে ডাক না-পেয়ে একাধিক গায়ক ও বাদ্যযন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক দীপক রায় বলেন, “বঞ্চিত শিল্পীরা নিরুপায় হয়ে সুবিচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।” ভাওয়াইয়া শিল্পী ভূপেন রায় বলেন, “বামেরা ভাবতেন আমরা বিরোধী দলের লোক। তবুও মাঝেমধ্যে ডাকত। এখনকার আয়োজকরা ধরে নিয়েছেন আমরা বামফ্রন্টের লোক। শিল্পীদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় থাকে না।” |