বায়ুদূষণের হাত থেকে গৌড়ের প্রাচীন স্থাপত্যকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। প্রায় ছ’শো বছর ধরে অবিভক্ত বাংলার রাজধানী থাকা গৌড় এলাকায় অন্তত সতেরোটি প্রাচীন পুরাকীর্তি রয়েছে। বড় সোনা মসজিদ, ফিরোজ মিনার, লুকোচুরি দরওয়াজার মতো ওই পুরাকীর্তিগুলি সংরক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সুখেন্দুশেখরের দাবি, ওই পুরাকীর্তিগুলি এখন দূষণের কবলে। আর এর কারণ, গৌড় সংলগ্ন মহদিপুর এলাকায় শুল্ক বিভাগের একটি কার্যালয়ের উপস্থিতি। জায়গাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় সারা দিন ধরেই প্রায় দু’শো-আড়াইশো লরি সেখান দিয়ে যাতায়াত করে। সুখেন্দুশেখরের বক্তব্য, “লরিগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে থামতে হয় মহদিপুরের শুল্ক দফতরে। ফলে ওই এলাকায় দূষণ অত্যধিক বেশি।” সেই কারণেই প্রাচীন সৌধগুলিতে এখন ধীরে ধীরে বায়ুদূষণের প্রভাব দেখা দিচ্ছে বলে তৃণমূল সাংসদের মত। বিষয়টির সুরাহা চেয়ে সম্প্রতি প্রণববাবুর সঙ্গে দেখা করে মহদিপুরের ওই শুল্ক অফিসটিকে তিন কিলোমিটার দূরে গোলাপগঞ্জে স্থানান্তরিত করার দাবি জানান সুখেন্দুবাবু।
|
শতাধিক হাতির বড় দলটিকে বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ধাদিকার জঙ্গলে পাঠাল বিষ্ণুপুর বন বিভাগ। এ কথা জানিয়েছে বিষ্ণুপুর বনবিভাগ। কিন্তু ছোট দলটিকে নিয়ে এখনও নাজেহাল বিষ্ণুপুরের বনকর্মীরা। দ্বারকেশ্বর নদের দিকে ২৫টি হাতির ওই দলকে ‘ব্যারিকেড’ করে রাখায় ওই দলটি এগিয়ে এসেছে কড়রার জঙ্গলে। ফেরার পথে হাতির পাল ভালুকা গ্রামে প্রায় ২০ বিঘা বীজ ধানের ক্ষতি করেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত চাষি রবিয়াল হোসেন খান, সাত্তার আলি খানরা বলেন, “হাতির পাল আমাদের সবার চাষ প্রায় বরবাদ করে দিয়েছে। কী করে দিন চলবে ভেবে পাচ্ছিনা।” ডিএফও (বিষ্ণুপুর) বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “ছোট দলটিকে ছাগুলিয়া হয়ে তালড্যাংরার পথে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। |
কথা শোনেনি সে। তাই ভোজালি দিয়ে কুনকি হাতি নীলকান্তের মাথায় কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত করল মাহুত। বুধবার সন্ধ্যায় জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কুঞ্জনগর বিটে ওই ঘটনার পরেই অবশ্য মাহুত রথীলাল ওঁরাওকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিএফও (কোচবিহার) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় ওই মাহুত খুকরি দিয়ে কুনকি হাতিটির মাথায় আঘাত করে বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর।” বছর ত্রিশের নীলকান্ত বেজায় চঞ্চল। কথায় কথায় তার মাথা গরম হয়ে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। বছর কয়েক আগে পুরনো এক মাহুত পিষে মেরেছিল সে। তবে রথীলালও তার আসল রক্ষক নন। বন দফতর সূত্রের খবর, নীলকান্তকে দেখাশোনা করে শুকরা ওঁরাও। তিনি অসুস্থ থাকায় রথীলাল তার দেখভালের দায়িত্ব বর্তেছিল। |