টুকরো খবর
ভূমি সংস্কার দফতরে বিক্ষোভ
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর অন্যত্র স্থানান্তরিত চেষ্টার অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ কর্মীদের তালা বন্ধ করে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার আমোদপুর বর্ধিত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া ব্লকের মুল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর রয়েছে সাঁইথিয়ায়। ব্লক অফিস রয়েছে আমোদপুরে। সাঁইথিয়া ব্লকের অধীনে রয়েছে সাঁইথিয়া এবং পাড়ুই থানার বিস্তীর্ণ এলাকা। দূরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে বছর চল্লিশ আগে সাঁইথিয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অধীনে আমোদপুরে একটি বর্ধিত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর চালু করে প্রশাসন। বর্তমানে স্থানীয় চৌরঙ্গী মোড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে ওই দফতরটি চলছে। এলাকাবাসীর দাবি, রাজ্যে একমাত্র আমোদপুরে সমান্তরাল এই দফতর দলছে। তা সত্ত্বেও দফতরটি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। পুলিশ-সহ দফতরের কর্মীরা বেশকিছু নথি বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে বাসিন্দারা আটকে রেখে তালা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বিকেল ৩টে নাগাদ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অভিজিৎ দত্ত ‘দফতর অন্যত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হবে না।’ এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে কর্মীদের উদ্ধার করেন। বিক্ষোভকারী তপন সেন, মুক্তালাল চন্দ্রের অভিযোগ, “সাঁইথিয়ায় দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিনই নথিপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাঁইথিয়ায় সরে গেলে আমোদপুর নয়, লাগোয়া পাড়ুই থানা এলাকার বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়বেন।” অভিজিৎবাবু বলেন, “গ্রামবাসীরা ভুল ধারণার বসবর্তী হয়ে এই কাজ করেছেন। আসলে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে নথিভুক্ত করার জন্য আমোদপুর কার্যালয়ের আওতাভুক্ত কিছু মৌজার নথি আনা হয়েছে। কাজ মিটে গেলে তা ফের আমোদপুরে ফিরিয়ে আনা হবে।”

শান্তিনিকেতনে লোক উৎসব
লোকসংস্কৃতির প্রচার, সংরক্ষণে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে শুরু
হয়েছে লোকনৃত্য উৎসব। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে লোকনৃত্য উৎসবের সূচনা করলেন। লোকসংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের এই উৎসব শুরু হল। উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র। রাজ্যপাল বলেন, “এই ধরণের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজ্যের লোক শিল্পীরা যোগ দেওয়ায় সাংস্কৃতিক আদান প্রদান হয়। জাতীয় সংহতি রক্ষায় এই ধরণের উদ্যোগ খুবই প্রশাংসনীয়। পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাল কাজ করছে।”সন্ধ্যায় রাজ্যপাল তথা পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি এম কে নারায়ণন উৎসবের সূচনা করেন। এবারের উৎসবে থাকছে রাজস্থানের বারবেলিয়া, গুজরাটের সিন্ধি ধামাল, জম্মু-কাশ্মীরের রউফ সহ নানা আঞ্চলিক নৃত্য। পূর্বভারতের রাজ্যগুলি থেকে বিহু, সম্বলপুরী, মারুনি, ঢোল ইত্যাদি লোকনৃত্য পরিবেশন করা হবে। পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা অনুপ মতিলাল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, অসম, ত্রিপুরা, সিকিম এবং আন্দামান-নিকোবর কে নিয়ে মোট ৯টি রাজ্যের লোকশিল্প ও সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে লোকনৃত্য, লোকশিল্প ও শিল্পীদের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই এই উৎসবের আয়োজন।” তিনি আরও জানান, শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে লোকনৃত্য, লোকশিল্প বিষয়ক কর্মশালার পাশাপাশি লোকশিল্পের প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্টলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে লোকশিল্পীরা তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসবেন। একটি স্থায়ী প্রদর্শনশালারও আয়োজন করা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী-সহ ৩
এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজনগর থানা এলাকার গণেশপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম জ্যোতি মিস্ত্রী (২৪)। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শনিবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার বিকালে মারা যান জ্যোতিদেবী। তার পরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নামে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূর বাবা উদয় শর্মা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে সিউড়ি থানার পাথরচাপুড়ি গ্রামের বাসিন্দা উদয় শর্মার মেয়ের সঙ্গে রাজনগরের গণেশপুরের বাসিন্দা পেশায় মৃৎশিল্পী নিরঞ্জন মিস্ত্রীর বিয়ে হয়েছিল। জ্যোতিদেবীর বাবার অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই জামাই ও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পণের দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। গত শনিবার সকালে ওরাই আমার মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়েছে।” যদিও উদয়বাবুর দাবি মানতে নারাজ জ্যোতিদেবীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা এবং পাড়া প্রতিবেশিরা। তাঁদের দাবি, অসাবধানতায় আগুন লেগে গিয়েছিল ওই বধূর গায়ে। তাতেই মারাত্মক জখম হন তিনি। ওই দিনই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের আজ শুক্রবার সিউড়ি আদালতে তোলা হবে।

মারধরের অভিযোগ
বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের আবাসিক এক গবেষককে মারধর করার অভিযোগ উঠল কলাভবনের অপর এক আবাসিক ছাত্রের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত কলা ছাত্রাবাসে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গবেষককে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে তিনি বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগ-সহ ছাত্র পরিচালক, ছাত্র কল্যাণ আধিকারিক এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গীত ভবনের হিন্দুস্থানী ক্ল্যাসিকাল কণ্ঠ সঙ্গীতের গবেষক অপূর্ব চক্রবর্তীকে তাঁর ঘরে ছাত্রাবাসের পুরনো খবরের কাগজ রাখার অভিযোগে মারধর করেন কলাভবনের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তথা ছাত্রাবাসের স্টুডেন্ট ওয়ার্ডেন অনিমেষ মাইতি। অভিযোগ, তিনি অপূর্বকে চড়, থাপ্পড় মারেন। প্রতিবাদ করায় চেয়ার দিয়ে তাঁকে আরও মারধর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অপূর্বর চোখে ও মাথায় চোট রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীন চোট আছে কিনা তা জানার জন্য স্ক্যান করা হবে। বৃহস্পতিবার অনিমেষ বলেন, “ভুল কাজ করেছি। এ দিন কলাভবনের অধ্যক্ষকে লিখিত ভাবে তা জানিয়েছি। বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালক মনোরঞ্জন প্রধান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ছাত্র ভুল স্বীকার করে অধ্যক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামী দিনে ফের কোনও অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জেলা বইমেলা
নিজস্ব চিত্র।
ন’হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ডাকবাংলো ময়দানে প্রায় ৯৬টি স্টল নিয়ে শুরু হল ত্রিশতম জেলা বইমেলা। মেলার প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী, আমলা থেকে বইপ্রেমী অনেক মানুষ। প্রথা মেনে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ছিল মেলার প্রথম দিন। ওই দিন সন্ধ্যাতেও শেষ হয়নি প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার উপস্থিত স্কুলের পড়ুয়াদের কথায় উঠে আসে পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের বেড়ে চলা আত্মহত্যার প্রবণতার মতো বিষয়ও। ভারতের গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তাঁর জীবনী, তাঁর লেখা সর্বোপরি গ্রন্থাগার বিষয়ক চিন্তাভাবনার আলোচনা মেলার অনুষ্ঠানে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন কেউ কেউ। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক স্বপন ঘোষ বলেন, “আরও বই নিয়ে, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে বইমোলা হলে ভাল হত। প্রভাত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও আলোচনা উদ্যোক্তাদের রাখা উচিত ছিল।”

হুকিং রুখতে ব্যবস্থা
দুবরাজপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক হারে চলছে বিদ্যুৎ চুরি। ‘হুকিং’ রুখতে বিদ্যুৎ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডের। তিনি বলেন, “মোট তিনটি ফেজ থেকে দুবরাজপুর শহরের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। মাঝের ফেজটি থেকে পথবাতির সংযোগ রয়েছে। এর জন্য প্রতিমাসে কমবেশি ১ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হয়।” তাঁর দাবি, “কিন্তু সন্ধ্যা নামতে না নামতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি হয়। বহু বার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দুবরাজপুর শাখায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা বিদ্যুৎ দফতরকে সাহায্য করবে সে কথা বলা হয়েছে।” বিদ্যুৎ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র স্বপন মণ্ডল বলেন, “বিদ্যুৎ চুরি রুখতে আমরা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে যে পরিমাণ তৎপর হলে বিদ্যুৎ চুরি আটকানো সম্ভব, কিন্তু বহুবিধ কাজের চাপে প্রায়শই করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পুরপ্রধান ও কাউন্সিলররা সহযোগিতা করলে আমরা অবশ্যই বিদ্যুৎ চুরি রুখতে আরও সচেষ্টা হব।”

পরিবারকে আর্থিক সাহায্য
ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্পের টাকা পেল দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার বসবাসকারী ২৮টি পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টে নাগাদ পুরসভা সভাকক্ষে ওই পরিবারগুলির হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে থাকা, বিপিএল পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল সদস্য মারা গেলে সেই পরিবার এই প্রকল্পের আয়তায় এককালীন দশ হাজার টাকা পেতে পারেন। দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় বসবাসকারী ১০৬টি পরিবারকে এই প্রকল্পের সহায়তা দেওয়া হবে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৭৮টি পরিবার চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ওই অর্থ সাহায্য পাবেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.