|
|
|
|
বরাদ্দ অর্থ খরচই হয়নি কুষ্ঠ নিরাময় প্রকল্পে় |
নিজস্ব সংবাদাদাতা • পটনা |
বিহারে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি ১০ হাজারে ১.১২ শতাংশ রোগী এই রাজ্যেই বাস করেন। আবার, সারা দেশে কুষ্ঠ রোগীদের মধ্যে ১৪ শতাংশেরই বাস বিহারে। নতুন করে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও ১৬ শতাংশের অধিক। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। ঘটনা হল, কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে বিহারের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থ খরচ করা যায়নি। তাই নিরাময় তো দূরস্থান, বিহারে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। পরিসংখ্যান মোতাবেক এ বিষয়ে বিহার এখন তালিকায় এক নম্বরে।
১৯৯১ সালে কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসার জন্য ‘মাল্টি ড্রাগ’ চিকিৎসা চালু হয়। কিন্তু তারপরেও বিহার এর সুযোগ তেমন ভাবে নিতে পারেনি। সম্প্রতি জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, কুষ্ঠ রোগ ঠেকাতে বিহার বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারেনি। ফলে রাজ্যে বহু লোক এই রোগের শিকার। কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগও তেমন হয়নি। ফলে দেহে কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝেই উঠতে পারেন না, কী করা উচিত। অথচ এই রোগের ব্যাপারে সচেতনা বৃদ্ধি করা গেলে তা ঠেকানো সহজ হত।
জাতীয় কুষ্ঠ নিরাময় কর্মসিূচর আওতায় প্রতিটি রাজ্যে বিনা ব্যয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত ভাবে এই কাজ করার কথা। অর্থ খরচ করার কথা রাজ্য সরকারের। মিশন মনে করছে, বিহার সরকার এই ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি। তারই ফলে রাজ্যের প্রায় ৪০ টি জায়গায় কুষ্ঠ রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের সচিব সঞ্জয় কুমারও মেনে নিয়েছেন এই সমস্যার কথা। তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আগামী দিনে আরও প্রচার কর্মসিূচর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গ্রাম ছাড়া স্কুলগুলিতেও এই রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার চালানো হবে।”
জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের তরফে রাজ্যকে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা এবং ব্লক ধরে এই কাজ করতে। নীচু স্তর পর্যন্ত গিয়ে রোগী চিহ্নিতকরণের কাজ করতে হবে। এরপর নিশ্চিত করতে হবে আক্রান্তদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি। মিশনের আরও নির্দেশ, শুধু চিকিৎসা করাতে এলেই হবে না। দেখতে হবে চিকিৎসাটি যাতে শেষ করা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, এই বছর থেকে কুষ্ঠ ব্যাধি নিরাময়ে আরও বেশি প্রচার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষকে আরও সজাগ করতে শিশুপ্রতি এই সচেতনা বৃদ্ধিতে জোর দিতে চায় কেন্দ্র। স্কুলগুলিতে এই ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। যাতে শরীরের চামড়ায় এমন কোনও দাগ দেখলে তারা প্রথমে অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। সেই বিষয়টিও এই সচেতনার আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। |
|
|
|
|
|