|
|
|
|
কথা হতে পারে ১৫ই |
কলেজ-শিক্ষকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি মমতার বিবেচনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ করার সুপারিশ করেছে। বিষয়টি এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেচনাধীন আছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বুধবার জানান। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। অবসরের বয়স বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দাবিতে ইতিমধ্যেই কর্মবিরতির হুমকি দিয়ে রেখেছে ওয়েবকুটা।
ব্রাত্যবাবু এ দিন বলেন, “কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ আমার কাছেই এসেছিল। আমি সেটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন পুরো বিষয়টিই ওঁর বিবেচনাধীন রয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে কমিটির সুপারিশের ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, রাজ্য সরকারই নেবে। এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের আলাদা করে কোনও মতামত নেই।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরেই অবসরের বয়ঃসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও জানিয়ে দিয়েছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর না-করলে তাঁদের বর্ধিত বেতনের বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় অবিলম্বে অবসরের বয়স বাড়ানো, পদোন্নতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি এবং অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছে তারা। তবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের বক্তব্য, অবসরের বয়স এবং বর্ধিত বেতন দু’টো আলাদা বিষয়। তারা চায়, কেন্দ্রীয় সরকার যেন অবসরের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের অনুদানের টাকা পাঠানোর বিষয়টি না-জড়ায়। এই ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলকে চিঠি দিয়েছে ওই দফতর।
কেন্দ্র কী বলছে?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবাবু জানান, ওই চিঠির কোনও উত্তর এখনও আসেনি। তিনি এ দিন বলেন, “পদোন্নতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা ১৭ ফেব্রুয়ারির আগেও বেরোতে পারে।” এই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক তরুণ পাত্র বলেন, “পদোন্নতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা বেরিয়ে গেলে আমরা কর্মবিরতি করব না।” |
|
|
|
|
|