দোকানের ভাড়া বাড়ানোর ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ হিসাবে এক দিনের ব্যবসা বন্ধ করল আদ্রা ব্যবসায়ী সমিতি। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্ধ হয়। ফলে এ দিন আদ্রা রেলশহরের বেশির ভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। পাশাপাশি দোকানের ভাড়া কমানো ও স্থায়ী ‘মার্কেট কমপ্লেক্স’ তৈরির দাবিতে ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি।
রেল সূত্রের খবর, আদ্রার দক্ষিণ ও উত্তর প্রান্তে ভাগের বাজারে বেশিরভাগ দোকানই রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে। বাজারের মোট দোকানের কমবেশি ৩০ শতাংশ দোকান হল রেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ‘বৈধ’ দোকান। বাকি সব দোকানই দখল করা জায়গায় গড়ে উঠেছে। রেল সূত্রের খবর, রেলের জমিতে ব্যবসা করার জন্য ওই দোকানগুলি ও ফুটপাথে বসে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের কাছ থেকে দৈনিক ফি আদায় করেন রেল কর্তৃপক্ষ। |
সম্প্রতি ওই ফি বেড়েছে। আদ্রা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তাপস কুণ্ডু জানান, মূলত তিনটি ক্ষেত্রে ওই ফি আদায় করে রেল। প্রথমত, ফুটপাথে বসে ব্যবসা করা লোকেদের কাছ থেকে। দ্বিতীয়ত, মাঝারি দোকান। তৃতীয়ত, বড় মাপের দোকানগুলি।
তাপসবাবুর অভিযোগ, ফুটপাথে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের কাছ থেকে দৈনিক ফি ২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে। মাঝারি দোকানগুলির ক্ষেত্রে দৈনিক ফি বাড়িয়ে ৫ থেকে ১০ ও ১৫ টাকা করা হয়েছে। আর বড় মাপের দোকানগুলির ক্ষেত্রে ৫ টাকা থেকে ফি বাড়িয়ে ২৫ টাকা করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “আমরা এই তিন থেকে পাঁচগুণ ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছি। একে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তার উপরে ফি এই হারে বাড়ালে ছোট ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন।” তবে এ দিন ব্যবসা বন্ধ করা হয়েছে বলে মানতে চায়নি তৃণমূল প্রভাবিত ওই ব্যবসায়ী সমিতি। তাপসবাবুর বক্তব্য, “ব্যবসায়ীরা মিছিল করে ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বলেই একবেলা দোকান বন্ধ ছিল।” আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার জানান, রেলের জমিতে ব্যবসা করার জন্যই ওই ফি নেওয়া হয়। ১২ বছর পরে রেলবোর্ড ফি-র পরিমাণ বাড়িয়েছে। ডিআরএমের কথায়, “আমরা রেলবোর্ডের নির্দেশই কার্যকর করেছি। ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি ওঁদের বোঝানো হয়েছে।” |