|
|
|
|
অভিযোগ ক্যাম্পাসিং হয়নি, অধ্যক্ষ ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্যাম্পাসিং হচ্ছে নাএই অভিযোগে বুধবার অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে ছাত্র-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল হলদিয়ার সরকারি পলিটেকনিক কলেজ মেঘনাদ সাহা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে। অন্তিমবর্ষের ২৪০ জন ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, একটি সিমেন্ট প্রস্ততকারক-সংস্থার তরফে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য চিঠি কলেজে এলেও তা প্রকাশ করেননি ‘ট্রেনিং প্লেসমেন্ট অফিসার’ নরেন্দ্রনাথ সিংহ। এ ছাড়াও কলেজে শিক্ষার উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বলেও পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত এক কলেজটির পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। আর ছাত্র-সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। টিএমসিপি সভাপতির দিকেও উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে।
কলেজের অন্তিমবর্ষের পড়ুয়া কৌশিক দাস, দেবলীনা মজুমদারদের অভিযোগ, “আমাদের এখানে এমনিতেই ক্যাম্পাসিং হয় না। তার উপরে ক্যাম্পসিংয়ের বিষয়ে যদি বেসরকারি সংস্থার চিঠি এসেও পড়ে থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ তো অন্ধকার!” তাঁদের অভিযোগ, “সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে স্টেট কাউন্সিলে ২৫ জানুয়ারি জানানো হয় ৭ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসিংয়ের কথা। বিষয়টি ৩০ জানুয়ারি কলেজ কর্তপক্ষ জানতে পারলেও পড়ুয়াদের জানানো হয়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মাত্র দু’এক জন ছাত্রকে এই খবর জানানো হয়। তা-ও কলেজের অনুমতিপত্র না থাকায় পর দিনের ক্যাম্পাসিংয়ে বসতে পারেননি কেউই।”
এ সমস্ত অভিযোগেই বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে অধ্যক্ষের অফিসের বাইরে ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট অফিসার (টিপিও) ও অন্য শিক্ষককদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন অন্তিমবর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভে সামিল হন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও থাকার পরে অধ্যক্ষ তাপসী বিশ্বাস রায় টিপিও নরেন্দ্রনাথ সিংহকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও টিপিওকে বরখাস্ত করার দাবিতে অনড় থাকেন পড়ুয়ারা। টিপিও নরেন্দ্রনাথ সিংহ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
|
|
|
|
|