মুম্বই এফ সি-র বিরুদ্ধে তো নয়ই, কলকাতা লিগের বাকি দু’টো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দলের দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে পাচ্ছেন না সুব্রত ভট্টাচার্য। ডাক্তারদের রিপোর্ট পেয়ে ফিজিও জোনাথন জানিয়েছেন, ব্যারেটোকে তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। হাদসন লিমাও তিন সপ্তাহের আগে মাঠে নামতে পারবেন না।
আই এফ এ কলকাতা লিগের বাকি ম্যাচগুলো করতে চাইছে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যে। কারণ আই এফ এ শিল্ড হওয়ার কথা ৩-১৬ মার্চ। চার্চিল, পুণে, লাজং আসার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে। মোহন টিডি অবশ্য ধরে নিয়েছেন, শিল্ডেও দু’জনকে পাওয়া যাবে না। “ওরা সুস্থ হয়ে মাঠে নামবে। তারপর ফিটনেস আনতে অনেক সময় লাগবে। আমার তো মনে হচ্ছে আই লিগ শুরুর আগে হাদসনকে পাব না।”
সুব্রত অবশ্য মুম্বই এফ সি ম্যাচকে প্রচন্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন। ব্যারেটো, সুনীল, হাদসন, নবিকে পাচ্ছে না মোহনবাগান। সুব্রত ঠিক করেছেন, ওডাফা-অসীমকে সামনে রেখে শুরু করবেন। মাঝমাঠে স্নেহাশিস, ড্যানিয়েল, রাকেশ, জুয়েল। ইতিমধ্যেই নতুন মরসুমের জন্য ফুটবলারদের তালিকা জমা দিয়েছেন মোহন-টিডি। “আমি কোচ থাকি বা না থাকি মোহনবাগানের ভাল চাই। সে জন্যই যাদের ভাল লেগেছে, তাদের নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি,” বলে দিলেন সুব্রত।
এ দিকে, ডার্বি ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার গৌতম করের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। বলেছিল, “গৌতম মোহনবাগানের লোক।” ফেডারেশন সচিব কুশল দাস কড়া চিঠি লিখে তার প্রমাণ চাইলেন। তিনি বলেছেন, ইস্টবেঙ্গল অত্যন্ত অপমানজনক উক্তি করেছে। তাদের স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করে রাখতে বলেন কুশলবাবু। প্রয়োজনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে ডাকা হবে। আই লিগের সি ই ও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের জবাব আসার পরই ফেডারেশন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” |