এ বছরই হয়তো দু’জনের শেষ অলিম্পিক। এবং তার মাস ছয়েক আগে লিয়েন্ডার পেজের শহরে দাঁড়িয়ে মহেশ ভূপতি ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন, লন্ডনে লি-হেশ জুটি তিনি চান না!
“লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের ডাবলস টিম কী হবে সেটা আমি বা আপনি কেউই ঠিক করব না। দেশের টেনিস কর্তাদের কাজ সেটা। তাদের উপরই ছেড়ে দিন না, অহেতুক বিতর্ক তৈরি না করে। লিয়েন্ডারের মতো আমিও চাই দেশের সেরা জুটিই লন্ডনে খেলুক। তবে বপ্সের (রোহন বোপান্না) সঙ্গে আমার জুটিটা আস্তে আস্তে জমে উঠছে। লন্ডন অলিম্পিক এখনও অনেক দূর। তার আগে আমরা অনেক টুর্নামেন্ট খেলব। আশা করি, তত দিনে আমাদের জুটি দুরন্ত হয়ে উঠবে।” মহেশের লম্বা মন্তব্যে কোথাও লিয়েন্ডার পেজ নেই। |
বিখ্যাত প্রাক্তন ডাবলস পার্টনারের কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্লাম করা নিয়ে একটাই কথা বললেন। “লিয়েন্ডারের যত বয়স বাড়ছে তত ভাল খেলছে। তত ভাল দেখাচ্ছে। পুরনো ওয়াইনের মতো।”
সে তো বুধবার শহরে ঘণ্টা আটেকের ঝটিতি সফরে কোনও সাম্প্রতিক বিষয়ই এড়িয়ে গেলেন না তিনি। ব্যক্তিগত কাজে এক বার বিকাশ ভবন ঢুঁ মেরে এসে বেঙ্গল পিয়ারলেস প্রধান কুমারশঙ্কর বাগচি-কে পাশে নিয়ে নিউটাউনের ঝাঁ-চকচকে মল-এ মহেশের মন্তব্য--টুইটারে আমি নিয়মিত থাকলেও যুবরাজের সমস্যাটা নিয়ে টুইট করব না, কারণ এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওকে এসএমএস পাঠিয়েছি।
-মেয়েকে বড় করে তোলার কাজটা মিক্সড ডাবলস ম্যাচ। এখানে অবশ্য লারা-ই কোর্টে আমাকে বইছে।
উনচল্লিশ ছুঁইছুঁই লিয়েন্ডার ২০১৬ অলিম্পিকেও নামার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। মহেশ যেন পুরনো ‘বন্ধু’কে খোঁচা মারতে বললেন, “আটত্রিশ চলছে। পরের অলিম্পিকে নিশ্চয়ই থাকব না। সে জন্য লন্ডনে পদক জেতাটাই আমার টেনিসজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলা যায়। কারণ আমার এগারোটা গ্র্যান্ড স্লাম থাকলেও কোনও অলিম্পিক পদক নেই ড্রইংরুমের শো-কেসে।”
জিনস্-ফুলস্লিভ পরে ‘অ্যাক্সিস’-এর ছাদে নিজের অ্যাকাডেমিতে টেনিস শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়ায় কচিকাঁচাদের একটাও শট মেরে দেখালেন না। “টেনিসের পোশাকে আসিনি তো। ক্যাজুয়াল ড্রেসে আমি র্যাকেট ধরি না,” বলে মহেশ যোগ করলেন, “প্রথম দু’বছরেই এই অ্যাকাডেমি থেকে একজনকে বিটিএ বেছে নিয়েছে। সর্বভারতীয় বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলাচ্ছে।” নিজের অ্যাকাডেমির মতো ভারতীয় টেনিসের ভবিষ্যৎ নিয়েও ইতিবাচক তিনি। ‘য়ুকি (ভামব্রি) তো আছেই। দু’দিন আগেই ডালাসে বিশ্বের প্রথম একশোয় থাকা প্লেয়ারকে চ্যালেঞ্জারে হারিয়েছে। উনিশেই। তবে আমার মতে দেশের সেরা প্রতিভা দিল্লির সুমিত নাগাল। আপনাদের দেশপ্রিয় পার্কেই তো হপ্তা দুয়েক আগে জুনিয়র আইটিএফ জিতেছে চোদ্দো বছর বয়সে। এখনই ভ্যাঙ্কুভারে থেকে ট্রেনিং নিচ্ছে। দেখুন, নাগাল আমাদের নাদাল হয়ে ওঠে কি না!” |