|
|
|
|
সফরে প্রথম বড় জয় |
জিতলেও মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন থাকছে |
রবি শাস্ত্রী |
সহজ ম্যাচটা ভারত কঠিন করে ফেলেছিল। জেতা ম্যাচ, শুধু মিডল অর্ডার গোটা ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেলেছিল। ভাল ভাবে বললে এটা অপেশাদারিত্ব। আর খারাপ ভাবে বললে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। শ্রীলঙ্কা মোটেই সুনাম অনুযায়ী খেলেনি। ওদের ব্যাটিং ভাল হয়নি। ভারতীয়রা উইকেট উপহার দেওয়ার আগে বোলিংয়ে বৈচিত্র এবং ধারের অভাব ছিল। এক বল আগে বিরাট কোহলি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার পরে ওই পুল মারার জন্য নিজেকে দোষ দেওয়া ছাড়া রায়নার কিছু করার নেই। কোহলিরও ওই না থাকা রানটার জন্য দৌড়নোর কোনও দরকার ছিল না। ধোনি? পুলটা ইনিংসের অনেক পরের দিকে মারা যেত। জিতলেও মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
বেশ কিছু দিন পরে ফের সচিনের একশোতম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিকে বাস্তব মনে হচ্ছিল। স্ট্রোকগুলো ভাল নিচ্ছিল, মাঠের ফাঁকগুলোও ইচ্ছে মতো খুঁজে পাচ্ছিল। সেঞ্চুরির সম্ভাবনায় আমরা সবাই নিজেদের সিটে নড়েচড়ে বসছিলাম। কিন্তু ফের ও ছন্দটা বদল করতে গেল এবং তার জন্য মূল্য দিতে হল। শ্রীলঙ্কাকে দেখেও মনে হচ্ছিল মাস্টারের ব্যাটিং উপভোগ করছে। তখনই হঠাৎ ও আউট। স্টিয়ার-কাট করার জন্য ভুল বলকে বেছেছিল ও। যতক্ষণ সচিন ক্রিজে ছিল, ম্যাচ আর তার ফলাফল নিয়ে কেউ ভাবছিল না। |
|
টিমকে জিতিয়ে পারথে কাজ শেষ জাডেজা-অশ্বিনের। ছবি: এএফপি |
দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফল্য পেলেও দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেট নিয়ে সমস্যা ইদানীং ছিলই। মাঠের বাইরে ঘটনা তাদের প্রভাবিত করেছে বলেই মনে হয়েছে। পরিবেশটা খুব স্বস্তিদায়ক নয়। এটার প্রতিবাদ ওরা করতেই পারে, কিন্তু ক্রিকেটটার ক্ষতি হয়েইছে। ফিল্ডিংয়ে ভারতের কৃতিত্ব স্বীকার করতেই হবে। বহু ম্যাচ পরে ধোনি ওর প্রথম সারির পাঁচ জন বোলারের উপর ভরসা রেখেছিল। রায়না, রোহিত বা কোহলিকে দিয়ে কাজ চালাতে হয়নি। বোলাররা অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিয়েছে। মেলবোর্নের পরে অশ্বিনের যেন নতুন করে আবির্ভাব হয়েছে। ফ্লাইটে মন দিয়েছিল, অহেতুক বৈচিত্রের চেষ্টা করেনি। জাহির খান থাকলে এই আক্রমণকেই অন্য রকম দেখায়। ধোনি আরও আশ্বস্ত হতে পারে, অপেক্ষায় আছে রাহুল শর্মা। স্টাম্পের পিছনে ধোনি নিজেও ছিল অসাধারণ। তবে পারথের পিচটা তত ভাল ছিল না। স্ট্রোক করতে গিয়ে ব্যাটসম্যান সমস্যায় পড়েছে। আত্মবিশ্বাসী কোহলি অবশ্য ব্যতিক্রম। গত মাসে এই মাঠে রান পাওয়ার পরে ও এখন ব্যাটিংয়ের অন্য একটা বৃত্তে বিচরণ করছে। ইনিংসের শুরুতে অনসাইডে বেশ কিছু শট মারার সুযোগ পায় ও। সেটাই ইনিংস গড়তে কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
|
পারথ ওয়ান ডে-র স্কোর |
শ্রীলঙ্কা |
থরঙ্গা ক সচিন বো জাহির ৪
দিলশান ক বিরাট বো জাডেজা ৪৮
সঙ্গকারা ক ধোনি বো জাহির ২৬
চন্ডীমল স্টা ধোনি বো অশ্বিন ৬৪
জয়বর্ধনে ক রোহিত বো অশ্বিন ২৩
পেরেরা স্টা ধোনি বো অশ্বিন ৭
ম্যাথেউজ ন.আ. ৩৩
থিরিমন্নে রান আউট ৭
কুলশেখরা ক রোহিত বো বিনয় ৭
মালিঙ্গা ন.আ. ১
অতিরিক্ত ১৩, মোট ৫০ ওভারে ২৩৩-৮।
পতন: ১২, ৭৪, ১০০, ১৫২, ১৭২, ১৮৯, ২০৪, ২২৮।
বোলিং: জাহির ১০-১-৪৪-২, প্রবীণ ১০-০-৫৪-০, বিনয় ১০-১-৫৬-১,
জাডেজা ১০-০-৪১-১, অশ্বিন ১০-১-৩২-৩।
|
ভারত |
সহবাগ ক কুলশেখরা বো মালিঙ্গা ১০
সচিন বো ম্যাথেউজ ৪৮
বিরাট রান আউট ৭৭
রোহিত ক দিলশান বো পেরেরা ১০
রায়না ক সেনানায়কে বো ম্যাথেউজ ২৪
ধোনি ক মালিঙ্গা বো প্রসাদ ৪
জাডেজা ন.আ. ২৪
অশ্বিন ন.আ. ৩০ অতিরিক্ত ৭, মোট ৪৬.৪ ওভারে ২৩৪-৬।
পতন: ১৪, ৮৯, ১২২, ১৫৭, ১৬৭, ১৮১।
বোলিং: মালিঙ্গা ৯-০-৪৯-১, কুলশেখরা ৮-০-৩৮-০, প্রসাদ ১০-০-৪৭-১,
ম্যাথেউজ ৯.৪-১-৩১-২, পেরেরা ৫-০-৩৭-১, দিলশান ৫-০-২৭-০। |
|
|
|
|
|
|