একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বৃক্ষরোপণ ও মাটি কাটার কাজে আর্থিক দুর্নীত হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল দুবরাজপুর ব্লকের সিপিএম পরিচালিত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। রঞ্জিত বাগদি নামে পঞ্চায়েতের এক নির্দল সদস্যের অভিযোগ, তাঁকে পুরোপুরি আড়ালে রেখে তাঁর সংসদের দু’টি কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি তিনি বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পণ্ডিতপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিতবাবুর দাবি, “আমার সংসদের মাহাতা পুকুর সংলগ্ন এলাকায় সাড়ে চার হাজার আম ও সোনাঝুরি গাছের চারা লাগানোর অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে ছোট ছোট গর্ত করে সেই চারাগুলি সেখানে এক প্রকার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মাস ছয়েক আগে লাগানো চারাগুলি বেঁচে নেই। এথচ সেই চারাগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও পাহারা দেওয়ার খরচ বাবদ এখন টাকা উঠছে। |
ফাঁকা পড়ে রয়েছে জমি। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
কিন্তু এই সব কাজের জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ হয়েছে বলে প্রধান দেখিয়েছেন। প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “আমার সংসদে ছোট সাঁকো, কাঁদর সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা চার ধাপে খরচ দেখিয়েছেন প্রধান। অথচ বছর খানেক আগে সামান্য কিছু মাটি কাটার পরে কাঁদরটি আর সংস্কারই হয়নি। তাই বিডিও এবং জেলাশাসককে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।”
বুধবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, একটিও চারাগাছ বেঁচে নেই। এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দা হৃদয় মাহাতো, সুবোধ বাগদি, প্রদীপ বাগদি, শেখ ইলিয়াসরা বলেন, “দায়সারা ভাবে কাজ হয়েছে। তার উপরে একটিও গাছ বেঁচে নেই। অথচ পাহার দেওয়ার খরচ দেখাচ্ছেন প্রধান।” লক্ষ্মীনারায়ণপুরের প্রধান মহম্মদ ইসমাইল বলেন, “নিয়ম মেনে গাছ লাগানো হয়েছিল। বেঁচে আছে কি না জানি না। কত দিন আগে মরেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই পাহারা দেওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজের টাকা আটকে দেওয়া হবে। কাঁদরের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।” দুবরাজপুরের বিডিও গোবিন্দ দত্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়ে প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |