সম্প্রতি বীরভূম জেলা পরিষদের কল্যাণে তারাপীঠের আধুনিকীকরণ ও সৌন্দর্যায়নের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি রূপায়িত হলেও তারাপীঠ সংলগ্ন দ্বারকা নদীর দুর্দশা নিরসনের জন্য কোনও পরিকল্পনা লক্ষ করা যায় না। বর্ষার সময়টুকু ছাড়া বছরের অন্য সময় দ্বারকাকে নদী রূপে চেনা শক্ত। প্লাস্টিক বোতল, থার্মোকলের বা শালপাতার থালা, পলিথিন ব্যাগ, মাটির ভাঁড়, তীরবর্তী হোটেলের যাবতীয় নোংরা, মানুষের বর্জ্য পদার্থের দূষণে নদী কলুষিত হয়ে ওঠে। |
চরম অবনতি হয় শীতকালে, পিকনিকের প্রশস্ত মরসুমে। আর এই ভাবে প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান তারীপীঠকে ঘিরে প্রবাহিত প্রায় নির্জলা দ্বারকা কার্যত ‘ভ্যাট’-এ পরিণত হয়।
উজ্জ্বলকুমার মণ্ডল। শেওড়াফুলি
|
দায় নারীর’ শীর্ষক সম্পাদকীয় নিবন্ধের বক্তব্য (৩-১) যথাযথ। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের মহানির্দেশক রেড্ডি মহাশয় বলেছেন, মহিলারা সালোয়ার-কামিজের ন্যায় আধুনিক পোশাক পরার জন্য পুরুষের যৌন লালসা বেড়ে উঠে। অন্য দিকে কর্নাটকের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী পাটিল মহাশয় বলেছেন নারীই যদি যৌন প্ররোচনামূলক বস্ত্রাদি পরেন, বেচারা পুরুষপুঙ্গবের আর কী-ই বা করবার থাকে? দুই ব্যক্তির বক্তব্য নতুন কিছু নয়। শুধু মাত্র অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যত্রও এই ধারা বয়ে চলে। দুই জনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কেউ কৌতুক বোধ করতে পারেন। ‘কথাটি কিন্তু ঠিকই।’ নারী যদি পুরুষের নৈতিক অবনমনের শিকার হয়, তার দায় পুরুষের উপর চাপালে চলবে না। পুরুষের নৈতিক অবনমন যদি ঘটে থাকে, তা নেহাতই দায়ে পড়ে। পুরুষের পক্ষে চোখ বুজে রাস্তাঘাটে চলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, চক্ষু-ইন্দ্রিয়ে যদি নারীর দেহবল্লরী উদ্ভাসিত হয়, কী আর করা যাবে?
নারী কী রূপ বস্ত্র পরে চলবে, তা নারীর নিজস্ব বিষয়। ব্যক্তিগত বিষয়। বর্তমান ব্যক্তিস্বাধীনতার যুগে প্রত্যেক নারীরই নিজস্ব মত বা পছন্দ অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন ও ব্যবহারের স্বাধীনতা আছে। কোনও পোশাকই নিন্দনীয় নয়, যদি তা সুভদ্র ও শালীন ভাবে পরা যায়। বর্তমানে শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নামক যে বস্তুটি অনেক মহিলা পরেন, সেটা সব সময় শালীন নয়। সমাজে আসল প্রশ্নটা রুচির। তেমনই রুচির বিকার নিয়ে বিতর্ক চলে। নারীর শ্লীলতাহানির মতো কাজ শুধু অশালীন নয়, অসভ্যও বটে। পুরুষকে যথাযথ সহবৎ শেখানোর দায়িত্ব সমাজ ও প্রশাসনের। শুধুমাত্র নারীর পোশাককে দোষারোপ করা নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। তবে নারীদেরও মনে রাখতে হবে, তারা যেন পোশাকের প্রদর্শনীক্ষেত্র ও রূপের হাট না হয়ে ওঠে।
সোমেশ্বর মল্লিক। কলকাতা-৮৪ |