টু-জি স্পেকট্রাম নিয়ে রায় ফের খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টেই আবেদন জানাবে টাটা টেলিসার্ভিসেস। সোমবার এই ঘোষণার পাশাপাশি মোবাইল পরিষেবা সংস্থাটির অভিযোগ, নিলামের মাধ্যমে স্পেকট্রাম বণ্টন নীতি স্বাগত। কিন্তু ২০০৮-এর পরিবর্তে এই নিয়ম কেন ২০০১ থেকেই কার্যকর হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। ‘নিয়ম মেনে’ চলেও এমন হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নরওয়ের টেলিকম পরিষেবা বহুজাতিক টেলিনর-ও। টাটা টেলির মতো আইনি পথে হাঁটার কথাও ভাবছে তারা। এ দেশে ইউনিনরের সিংহভাগ অংশীদারি রয়েছে এই সংস্থারই দখলে।
তবে টু-জি লাইসেন্স বাতিলের এই ঘটনা বিদেশি লগ্নির উপর প্রভাব ফেলবে না বলে এ দিন ফের দাবি করেন কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। কলকাতায় বণিকসভা ফিকি-র সভার ফাঁকে তাঁর দাবি, “মোট লগ্নিতে টেলিকমের ভাগ বেশি নয়। ভারতে সৎ ভাবেই ব্যবসা করছে অন্য বিদেশি সংস্থাগুলি। তবে প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব আইন আছে। জাতীয় সম্পদ বণ্টনে যদি সেই আইন লঙ্ঘিত হয়, তা হলে তার ফল কী হতে পারে, তা নিশ্চয় সংস্থাগুলির জানা উচিত।”
তবে লিখিত বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েও টাটা টেলি-র প্রশ্ন, তারাও মনে করে, অপ্রতুল ও মূল্যবান জাতীয় সম্পদ স্পেকট্রাম ন্যায্য দামেই দেওয়া উচিত। হয়তো সে ক্ষেত্রে নিলামই ঠিক পথ। তা হলে ২০০১ থেকে বণ্টিত স্পেকট্রাম এর আওতায় না এনে কেন শুধু ২০০৮-কে বাছা হবে? সংস্থার অভিযোগ, স্পেকট্রামের জন্য ২০০৬-এর জুনে আবেদন জানায় তারা। কিন্তু তা হাতে আসে ২০০৮-এ। প্রশাসনিক ঢিলেমির খেসারত তাদের দিতে হচ্ছে। একই অভিযোগ তুলেছিল আইডিয়া।
২০০৮-এ লাইসেন্স পাওয়ার পর যে নতুন সংস্থাগুলি দ্রুত বাজার ধরছিল, তার অন্যতম ইউনিনর। সংস্থা গড়তে ভারতীয় নির্মাণ সংস্থা ইউনিটেকের সঙ্গে হাত মেলায় টেলিনর। ইউনিনরের ২২টি লাইসেন্স বাতিলের পর যৌথ উদ্যোগটির এমডি ও টেলিনরের এশীয় প্রধান সিগভে ব্রেক্কে বলেন, “৪ মাস ব্যবসা চালাব। সম্ভাবনা রয়েছে নিলামে যোগদানের। অহেতুক বেশি দামে স্পেকট্রাম কিনতে রাজি নই। সে ক্ষেত্রে খোলা রয়েছে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ।” |