সোমবার সিরিয়ায় মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দিল ওবামা প্রশাসন। দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিনে সিরিয়ার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি লক্ষ করে নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমেরিকার তরফে জানানো হয়। এ দিকে সোমবারও আসাদ-বিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হোমস শহরে বোমাবর্ষণ করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। সিরিয়ার বিরোধীদের জাতীয় কাউন্সিলের দাবি, সোমবারের এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। যদিও দেশের মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, নিহত হয়েছেন ১৭ জন সাধারণ নাগরিক। আহত আরও অনেকে।
তবে সরকারি সূত্রে হোমস শহরে নাগরিকদের উপর আক্রমণের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকী ইন্টারনেটে মৃতদেহ এবং ঘর-বাড়িতে বোমাবর্ষণের যে ছবি দেখা গিয়েছে, তা পুরোপুরি সাজানো বলেও মন্তব্য করা হয়।
গত শনিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য তৈরি প্রস্তাবে রাশিয়া এবং চিন ভেটো দেয়। তার পরেই সাধারণ মানুষের উপর সিরিয়ার সেনাবাহিনীর এমন নৃশংস আক্রমণকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সিরিয়ার বর্তমান রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির জন্য চিন এবং রাশিয়াকেই পুরোপুরি দায়ী করছে জার্মানি, ফ্রান্স, আমেরিকা এবং আরব দেশগুলি। এই প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। তবে আসাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছে রাশিয়া। মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন বলেন, অন্য দেশগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে আমেরিকা। সিরিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সিরিয়ার বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে একটি গোষ্ঠী গড়ার যে প্রস্তাব সারকোজি দিয়েছিলেন তাতে আমেরিকা সায় দিতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। |