আত্মঘাতী চাষির বাড়িতে সূর্যকান্ত, বিক্ষোভ তৃণমূলের
গাজলে আত্মঘাতী কৃষক কেনারাম সরকারের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রকে। রবিবার নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (এবিপিটিএ)-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বিরোধী দলনেতা গাজলে ওই আত্মঘাতী কৃষকের বাড়িতে যান। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা সূর্যবাবুকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি তুলে স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা বলেন, “টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য তৃণমূল কর্মীরা আমায় কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।”
মৃত চাষির পরিবারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়
পক্ষান্তরে, গাজল ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত ঘোষের বক্তব্য, “কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর ব্যাপারে আমাদের দলগত কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না। এক জন মাতাল ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কৃষকের আত্মহত্যা বলে সিপিএম চিৎকার করছে। সিপিএমের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।”
গাজলে আত্মঘাতী কৃষকের বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি সূর্যবাবু এ দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনাও করেন। সূর্যবাবুর অভিযোগ, রাজ্য পরিচালনা থেকে দফতরের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনসর্বত্রই মুখ্যমন্ত্রী ‘ব্যর্থ’। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী ধান, চালের ফারাকই বোঝেন না। কৃষক কী ভাবে চিনবেন! কালীঘাটে বসে কৃষককে জানা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী মহাকরণ থেকে সরকার, দল, জোটসবই চালাচ্ছেন।” বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’দিন স্বাস্থ্য ভবনে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে সূর্যবাবুর প্রশ্ন, “এ ভাবে একটা দফতর চলতে পারে না কি!” বামফ্রন্ট আমলে যা গড়ে তোলা হয়েছিল, সব এখন ভেঙে যাচ্ছে বলেও সূর্যবাবুর অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমরা আবারও বলছি উনি স্বাস্থ্য দফতর ছেড়ে দিন। পূর্ণ সময়ের এক জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করুন। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে স্বাস্থ্য দফতর চলবে না।”
রাজ্যে সাম্প্রতিক শিশুমৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানকে কটাক্ষ করে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “এই জ্ঞান নিয়ে রাজ্য চালানো যায় না। একটা দফতর চালাতে গেলে কিছু শিখতে হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর শেখার সময় কোথায়? উনি তো সবাইকে শেখাচ্ছেন।” বিরোধী দলনেতা এ দিন আরও অভিযোগ করেন, মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করার জন্য তৃণমূল কেএলও-কে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, “যে সমস্ত কেএলও জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ওই কেএলও জঙ্গিরাই পাকুয়াহাট কলেজে ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দিয়ে পোস্টার টাঙিয়েছেন, এসএফআই নেতাদের মুণ্ডু চাই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.