উত্তরের চিঠি

ভগ্নদশায় প্রাচীন নাট্যমঞ্চ
জলপাইগুড়ির পুরনো নাট্য-ব্যক্তিত্বরা সুপ্রাচীন ‘বান্ধব নাট্য সমাজ’ (ফ্রেন্ডস ড্রামাটিক ক্লাব) নামে পরিচিত নাট্য মঞ্চকে বর্তমান ভগ্নদশা থেকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য প্রশাসনের দরজায় ঘুরে ঘুরে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কি এতটুকু আশার বাণী শোনাতে পারবেন না আমাদের মাননীয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী? যিনি নিজেও দেখে গেছেন ক্লাবের ভগ্নদশার চিত্রটি। তাঁর সফরের পরে আশার আলো দেখেছিলেন ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু অবস্থা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী ফ্রেন্ডস ড্রামাটিক ক্লাবের ভগ্নদশা ছবি: অনিতা দত্ত
বহু বছর আগে এই বান্ধব নাট্য সমাজের সঙ্গে বর্তমান ‘দীপ্তি টকিজ’ সিনেমা হলের মালিক রেণুকণা মিত্রের চুক্তি হয়। সিনেমা প্রদর্শনের জন্য নাট্যমঞ্চটি লিজ দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ গত ৩১ জুলাই ২০০২-তে শেষ হয়ে গিয়েছে। লিজটি আর নবীকরণ করা হয়নি। রেণুকণা মিত্রের প্রয়াণের পর এই বান্ধব নাট্য সমাজের হলটিতে নবীকরণ ছাড়া সিনেমা প্রদর্শন বেআইনি। শুধু তাই নয়, এই প্রাচীন মঞ্চটির বর্তমানে বিপজ্জনক অবস্থা। সংস্কার না করলে যে কোনও সময় দর্শকদের মাথায় জীর্ণ ছাদটি ভেঙে পড়তে পারে। তাই এই অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিবেচনা করে উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে বিনিত নিবেদন এই যে প্রশাসনিক সমস্যাগুলো দূর করে এটি সংস্কারে উদ্যোগ নিন। যাতে আগামী দিনে ঐতিহ্যপূর্ণ বান্ধবনাট্য সমাজ মঞ্চটি তার হৃতগৌরব ফিরে পেতে পারে।


উত্তরবঙ্গে এইম্স
উত্তরবঙ্গে এইম্স ধাঁচের হাসপাতাল করতে হলে রাজধানী শিলিগুড়িই হল প্রকৃষ্ট স্থান। শিলিগুড়িতে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো আপাতত উন্নত করে চালু হতে পারে এই পরিষেবা। যত দূর জানা আছে, এই মেডিক্যাল কলেজের ভিতের উপর তিনতলা পর্যন্ত ভবন গঠন করা সম্ভব। এবং অনেক খালি জমি এখনও পড়ে আছে। যেখানে নতুন ভবন তৈরি করা যেতে পারে। ফলে শীঘ্রই চালু করতে চাইলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণেরও প্রয়োজন নেই। উত্তরবঙ্গের পাশেই রয়েছে তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকটি বড় সেনা ছাউনিও এখানে আছে। আর দ্রুত যোগাযোগের জন্য রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কলকাতার পর দ্রুত উন্নয়নশীল শহর এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হিসেবে ইতিমধ্যেই বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে শিলিগুড়ি। সে জন্য এর গুরুত্ব অধিক। তাই অবশ্যই উন্নত মানের হাসপাতাল গড়ার জন্য বিবেচিত হওয়া উচিত শিলিগুড়ির।


হাসপাতালে উৎপাত
শিলিগুড়িতে একটা মজার ছড়া স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। ‘হাসপাতলে গণ্ডগোল, বেড়াল, কুকুর বাজায় ঢোল।’ কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেই মজার নয়। ঘটনা হল, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালটি বেড়ালদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। অনেকগুলি বেড়াল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডকে ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সকলে। রোগীদের খাবারে মুখ দেওয়া ও ওয়ার্ড নোংরা করার মতো দুষ্কর্মে তারা সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে এক দল কুকুরকেও। ইতিপূর্বে এক বার হাসপাতাল চত্বর থেকে কুকুরদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তারা আবার ফিরে এসেছে। এ নিয়ে রোগীদের আত্মীয়রা রোজই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিলিগুড়ি শহর তো বটেই, শহরতলির বেশির ভাগ রোগী চিকিৎসার জন্য এখানেই আসেন। অনেক রোগীকেই বেডের অভাবে মাটিতে জায়গা নিতে হয়। তাঁদের পাশেই শুয়ে থাকে কুকুর-বেড়াল। কখনও বেডের নীচে ঘুমিয়ে থাকে তারা। হাসপাতলের যে কোনও ওয়ার্ডে গেলে চোখে পড়বে মানুষের পাশাপাশি বেড়াল ও কুকুরদের অবাধ বিচরণ। রোগীদের বরাদ্দ খাবার ও পানীয় খেয়ে ফেলায় মাঝে মাঝেই তাঁদের অভুক্ত থাকতে হয়। হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা কয়েক বার বেড়ালগুলিকে দূরে ছেড়ে দিয়ে এলেও তারা আবার ফিরে এসেছে। হাসপাতালেই নবজাত মনুষ্য শিশুর পাশাপাশি জন্ম নিচ্ছে নবজাত মার্জার ও সারমেয় শিশুরা। দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দাও হাসপাতাল চত্বরকেই বেড়াল ও কুকুর শাবকদের ছেড়ে দেবার নিরাপদ জায়গা মনে করেন। তার জন্যও এদের উৎপাত বাড়ে। সব মিলিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।



উত্তরের চিঠি
এ বি পি প্রাঃ লিঃ, ১৩৬/৮৯ চার্চ
রোড, শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.