সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে শিল্প সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে কয়েকজন তরুণ-তরুণীর উদ্যোগে নাট্য মেলা শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দক্ষিণ আখরাতলা রবীন্দ্র কমিউনিটি হলে। ন্যাজাট ভাবনা নাট্য গোষ্ঠীর উদ্যোগে এবং টাকি নাট্যম এর সহযোগিতায় চতুর্থ বর্ষে পা দিল এই নাট্যমেলা। প্রদীপ জ্বেলে উৎসবের সূচনা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার খোকন বিশ্বাস, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, লেখক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এবং দীপক বসু। তিন দিনের এই নাট্য মেলায় নেতাজি পল্লির ন্যাজাট ভাবনা-র ‘সামনে সমুদ্দুর’, দক্ষিণেশ্বরের শৌভিক সাংস্কৃতিক চক্রর ‘সেই তো তোমার আলো’, গোবরডাঙার নকসা প্রযোজিত ‘সুভা’, হুগলির ভদ্রকালী আর্ট এ্যান্ড কালচার-এর ‘মাঝি’, নদিয়ার গয়েশপুর মঞ্চসেনার ‘নষ্ট চাঁদের গান’, গোবরডাঙার শিল্পায়ন-এর ‘ভূতপুরাণ’, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল শিল্পকৃতির ‘ছাঁচ ভাঙার গান’ এবং টাকির নাট্যম সংস্থার দুটি নাটক ‘কৃষ্ণ প্রাপ্তি’ এবং ‘বনজোছনা’ সহ মোট ন’টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। শনিবার সন্ধ্যায় মেলা উদ্বোধনের পর মৌমিতা সাহার গানের পাশাপাশি ‘নটী বিনোদিনী’ ও ‘মা মাটি মানুষ’ যাত্রাপালার গানগুলি গীতিকার খোকন বিশ্বাসের কণ্ঠে শুনে মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকরা। এ দিনের প্রথম নাটক ‘সামনে সমুদ্দুর’-এর কাহিনী মূলত সুন্দরবনের পটভূমিকায় তৈরি। নাট্য মেলা উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহের পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও বিশেষ মুহূর্তের তোলা ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তদের তরফে মৌমিতা সাহা জানান, ১৫ বছর ধরে তাঁদের সংগঠন নাটকের সঙ্গে জড়িত।
|
সম্প্রতি আদিবাসী জনকল্যাণ সমিতির পরিচালনায় টুসু উৎসব পালিত হল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। বাইলানি বাজার সংলগ্ন ফুটবল মাঠে উৎসবে উদ্বোধন করেন বসিরহাটের সাংসদ নরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুবক্কর গাজি, পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা পাত্র প্রমুখ। এই টুসু উৎসব সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনদিনের এই উৎসবে তরজা, টুসু গান, ঝুমুর গানের আয়োজন করা হয়েছিল। শিশু ও কিশোরদের জন্য বসে আঁকো, গান, নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ের উপরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উৎসবে আদিবাসী মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
|
শ্রীরামপুরের ক্রীড়া বিষয়ক পত্রিকা ‘মৈত্রেয়ী’র উদ্যোগে সম্প্রতি এক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। শ্রীরামপুরের চাতরায় নন্দলাল ইনস্টিটিউশনে ওই অনুষ্ঠান হয়। ‘মৈত্রেয়ী’র সম্পাদক, প্রাক্তন ফুটবলার সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বসে আঁকো, যোগাসন এবং হস্তলিখন প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৩০০ স্কুল পড়ুয়া। এ ছাড়াও, পত্রিকার তরফে দুর্গাপুজো পরিক্রমায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, দুঃস্থদের কম্বল দেওয়া হয়। এক জন দুঃস্থ ছাত্রীকে পাঠ্যপুস্তক দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়।
|
দ্বারহাট্টা রাজেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের শতোত্তর রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়েছে। ওই উপলক্ষে সম্প্রতি এক পদযাত্রা বের হয়। বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পদযাত্রায় সামিল হন। ৫-৬টি গ্রাম পরিক্রমা করে ওই পদযাত্রা। প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র ঘোষ জানান, ১২৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সম্পাদক। নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ বছরটি পালন করা হবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।
|