সম্পাদক সমীপেষু ... |
গঙ্গাপাড় লোপাট হচ্ছে, প্রশাসন নীরব দর্শক |
নির্মল সরকার ঝুঁকি নিয়ে গঙ্গাপাড়ের মাটি কাটা ও পাচারকে কেন্দ্র করে চলতে থাকা অপকর্মের যে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, আমি এলাকার বাসিন্দা হিসাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। (‘অপকর্মে সহযোগিতা’, ১৮-১২) পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে কয়েকটি কথা সংযোজন করতে চাই। অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় গঙ্গাভাঙন রোধ ও পাড় বাঁধানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এলাকার মাফিয়ারা পুলিশ ও প্রশাসনিক সহযোগিতায় গঙ্গাপাড় লোপাট করে দিলে কী বাঁধাবেন? প্রশাসনিক কর্তারা একটু সরেজমিন তদন্ত করে দেখবেন কি সামসেরগঞ্জ থানা এলাকায় গঙ্গার দক্ষিণ পাড়ের হাজার হাজার একর জমি খুঁড়ে পাচারকারী মাফিয়ারা গঙ্গাপাড়কে কী ভয়ঙ্কর আকার দিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা জবাব দিতে পারবেন কি গঙ্গাপাড়ের মাটিগুলো গেল কোথায়? উত্তর দেওয়া যাবে কি, কাদের সাহসে মাফিয়ারা দিবারাত্র জে সি পি নামিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনে গঙ্গার পাড় চিরে মাটি খনন করে পাচার করে? গঙ্গা হাজার হাজার পরিবারকে বাস্তুহারা করেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গঙ্গাপাড়েই আস্তানা গেড়েছে। কিন্তু মাফিয়ারা মাটি কাটা ও পাচার অপকর্মের দ্বারা কৃত্রিম ভাবে গরিব মানুষদের আস্তানাটুকুও গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অপকর্মটা করে ফেলেছে।
গঙ্গায় যে জে সি পি দিয়ে গভীর কূপ খনন করা হয়েছে তাতে গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দাদের কী হবে? নির্মলবাবুর মতো আমার মনেও প্রশ্ন জাগে। এর জন্য দায়ী কি নাগরিক সমাজের ভীরুতা, না প্রশাসনিক অক্ষমতা? |
বাসির আহমেদ। সামসেরগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ
|
কল্পনাপ্রসূত সংবাদ |
‘ঘোষণাই কি সার, প্রশ্ন জঙ্গলমহলে’ (১০-১) শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। উক্ত সংবাদে জঙ্গলমহলের বর্তমান গণবণ্টন ব্যবস্থা সম্পর্কে যে তথ্য পরিবেশিত হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, বস্তুনিষ্ঠ নয়। বর্তমান সরকার শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ামাত্রই জঙ্গলমহল এলাকায় খাদ্যনিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হয়। গত জুলাই ২০১১ থেকে সরকার ঘোষিত বার্ষিক-পারিবারিক আয়ভিত্তিক মাপকাঠিতে জঙ্গলমহলে বসবাসকারী আদিবাসীসমেত অন্য সব পরিবারকে বি পি এল হিসাবে শনাক্তকরণ ও চিহ্নিত বি পি এল পরিবারগুলোর মধ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ টাকা কেজি দরে চাল ও ৬.৬৬ টাকা কেজি দরে পুষ্টিযুক্ত আটা বিলি করা হচ্ছে। এখন পর্যম্ত জঙ্গলমহলে বসবাসকারী ১২ লক্ষেরও বেশি বি পি এল রেশনকার্ডধারী এই সুযোগ পাচ্ছেন। শনাক্তকরণ ও কার্ড বিতরণ ধারাবাহিক ভাবে চলছে। পরিশেষে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে, জঙ্গলমহলের সার্বিক উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত প্রতিশ্রুতিগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা প্রতি মাসেই মুখ্যসচিবের পৌরোহিত্যে পর্যালোচিত হয়। |
জয়দেব জানা। অধিকর্তা, ডি ডি পি অ্যান্ড এস, খাদ্য ও সরবরাহ দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
|
মৈত্রেয়ীর কথা |
কলকাতার কড়চায় (২৩-১) আমাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু নারীবাদী আন্দোলনের নেত্রী মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবরটি পড়লাম। নান্দীকারের নাট্যোৎসবের ফাঁকে ফাঁকে এবং শিশু-সাহিত্যের একাধিক আসরে প্রচুর আড্ডার স্মৃতি থেকে দুটি মজার গল্প বলি।
হেমেন্দ্রকুমার রায় (শিশু সাহিত্যিক) থাকতেন বাগবাজার বিচালিঘাটের ধারে এক বিশাল বাড়িতে। হাজারিবাগের বাড়ি থেকে শিশু মৈত্রেয়ী কলকাতা এসেছেন দাদুর বাড়ি। শিবরাম চক্রবর্তী গেছেন হেমেন্দ্রকুমারের বাড়িতে। হেমেন্দ্রকুমারের মেয়ের নাম শেফালি। মৈত্রেয়ীকে দেখেই শিবরাম বললেন, এটাই তো শেফালির ফালি। |
|
আর একবার মৈত্রেয়ী দাদুর বাড়ি এসেছেন। হেমেন্দ্রকুমার মাথায় বড় বড় চুল রাখতেন। নাতনি কলকাতায় এলেই দাদুর নাপিত বাচ্চা মেয়েটির চুল সুন্দর করে ছেঁটে দিত। সে বারেও চুল ছাঁটা হল। পরদিন সকালে দাদু অফিসের টেবিলে (‘নাচঘর’ সম্পাদনা করতেন) ঘুমোচ্ছেন। নিদ্রান্তে দেখলেন, তাঁর পিছনের বাবরি চুল ছাঁটা। নাতনির কাজ।
শেষোক্ত ঘটনাটি শিবরামদার কাছে শোনা। |
চণ্ডী লাহিড়ী। কলকাতা-৩৭ |
|