দগ্ধ বধূর মৃত্যু হাসপাতালে, স্বামী গ্রেফতার |
লেক থানার যোধপুর কলোনিতে স্ত্রীর পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শঙ্কর বৈরাগী। স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ৩১ জানুয়ারি শঙ্করবাবুর স্ত্রী শ্যামলীদেবী বাড়িতেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার তিনি মারা যান। ঘটনার দিনেই শ্যামলীদেবী জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে মৃতার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর মেয়ের উপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতন চলছিল। তার ভিত্তিতে রবিবার রাতে পুলিশ শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করে।
|
একাদশ শ্রেণি থেকে এমএ-র বই যুবকেন্দ্রেই |
মৌলালি যুবকেন্দ্রের গ্রন্থাগারে একাদশ শ্রেণি থেকে এমএ পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যবই এবং সহায়িকা বই রাখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পড়ুয়ারা যাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারেন, সেই জন্য গ্রন্থাগারে ছ’টি কম্পিউটার বসানোরও নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি সরেজমিনে যুবকেন্দ্র ঘুরে দেখার পরে মন্ত্রী বলেন, “এই গ্রন্থাগারটি যাতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগে, সেই জন্যই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” মন্ত্রী জানান, যুবকেন্দ্রে পুরুষদের জন্য ৬৩টি এবং মহিলাদের জন্য ১১টি শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, “ওগুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমি অবিলম্বে বিছানাপত্র পাল্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। মহিলাদের ১০টি শয্যা বাড়িয়ে দিতে বলেছি।” ৩২ বছর ধরে মৌলালি যুবকেন্দ্রের প্রশাসনিক অফিসার এবং প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ছিলেন গৌতম দাশগুপ্ত। যুবকেন্দ্র পরিদর্শনের পরে তাঁকে সরিয়ে দেন মন্ত্রী। তাঁর বদলে যুবকল্যাণ দফতরের ল অফিসার সুজয় মণ্ডলকে ওই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। পরে মন্ত্রী বলেন, “যুবকেন্দ্রর মতো সরকারি জায়গায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে দু’টি বেসরকারি কম্পিউটার সেন্টার এবং একটি ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চলছে। সেগুলির সঙ্গে সরকারের কী চুক্তি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, মানিকতলায় যে-জেলা যুব অফিস ছিল, সেটিকে যুবকেন্দ্রে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
|
এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। শনিবার রাতে, দমদমের পুলিন কলোনির একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে। মৃতার নাম রহিমা বিবি (২৭)। তাঁর বাড়ি বামুনগাছিতে। ধৃত নিমাই সর্দারের বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, নিমাই ওই বাড়িতে মার্বেল জোগানের কাজ করছিল। সেখানেই রাজমিস্ত্রির অধীনে জোগাড়ের কাজ করছিলেন রহিমা। তিনি নিমাইয়ের পরিচিত। ওই রাতে দু’জনের টাকাপয়সা নিয়ে বচসা হয়। অভিযোগ, নিমাই ছুরি দিয়ে রহিমার গলা চেপে ধরে। রহিমার গলা কেটে গেলে পালায় নিমাই। হাসপাতালে রহিমাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই রাতেই মধ্যমগ্রাম থেকে ধরা পড়ে নিমাই।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার সকালে, হরিদেবপুর থানা এলাকার ভুবনমোহন রোডের একটি বাড়িতে। মৃতের নাম সপ্তর্ষি সরকার (২৯)। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে মা ও দিদির সঙ্গে থাকতেন সপ্তর্ষি। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মা ও দিদি মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে ওই যুবকের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক ডাকাডাকিতে সাড়া না পেয়ে বাড়ির দরজা ভাঙে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয় সপ্তর্ষির দেহ। পরে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, রাতে কোনও ভাবে
ঘরে আগুন লেগে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সপ্তর্ষির।
|
পোস্তার হরিরাম গোয়েনকা স্ট্রিটের একটি গয়নার দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার হিরের গয়না এবং টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, শনিবার গয়নার তালিকা মেলাতে গিয়ে মালিক দেখেন, প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকার গয়না উধাও। চুরি গিয়েছে টাকাও। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপ রাই নামে এক কর্মী ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দু’বছর ধরে ওই দোকানে কাজ করতেন সন্দীপ। শনিবার থেকেই নিখোঁজ তিনি। পুলিশ জানায়, উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা ওই যুবক মাধবকেষ্ট শেঠ লেনে ভাড়া থাকতেন। সেখানেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কয়েক দিন ধরেই গয়না সরানো হচ্ছিল। শনিবারই পোস্তার বসাক স্ট্রিটে একটি গয়না তৈরির কারখানায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, জানলার গ্রিল ভেঙে ঢোকে দুষ্কৃতীরা।
|
চলতি মাস থেকে কলকাতার মতোই বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তা একমুখী হবে। সম্প্রতি এ কথা জানান বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অঞ্চলে যান-সমস্যা সমাধানে এই পদক্ষেপে কাজ হবে বলেই মনে করছে পুলিশ প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকে সরকারি ভাবে পরিকল্পনা কার্যকরী হবে। বোলার্স ডেন থেকে এসডিএফ হয়ে কলেজ মোড় ও বেনফিশের মোড় থেকে টেকনো ইন্ডিয়া পর্যন্ত রাস্তা একমুখী হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
|
পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো যাচ্ছে রেলের হাতে |
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ রেলের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের অংশীদারি রেলের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী কালে নিয়ম অনুযায়ী কাজ হবে।” এই প্রকল্প রেলের হাতে তুলে দিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারও। রেল একটি কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ফের এই হস্তান্তরে সায় দেয় সরকার। |