ক্ষুব্ধ শান্তিরাম |
নাটক প্রতিযোগিতায়
অব্যবস্থার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
|
|
আদিবাসী ভাষায় রচিত রাজ্য স্তরের একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। শনিবার পুরুলিয়ার বোরো থানার শুশুনিয়ায় একলব্য হাইস্কুলের মাঠে দু’দিনের এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের আয়োজিত এই অনুষ্ঠান নিয়ে শান্তিরামবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করলেও মন্ত্রীসভার অপর সদস্য সুকুমার হাঁসদা অবশ্য সমালোচনা করেন নি।
শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুই মন্ত্রী ঘণ্টা দুই পরে আসেন। তাঁরা জানান, অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। প্রদীপ জ্বেলে উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। স্মরণিকা প্রকাশ করেন রাজ্যের শান্তিরামবাবু।
এ দিন মঞ্চে ওঠার পর শান্তিরামবাবু অভিযোগ করেন, “মহিলারা সব মাটিতে বসে কেন?” বস্তুত কিছু সীমিত চেয়ার দর্শকদের জন্য ছিল। বাকিরা মাটির ঘাস-মাটির উপরে বসেছিলেন। অনেকে আবার দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ আয়তনেও বেশ ছোট ছিল। মঞ্চের আয়তন নিয়ে দর্শক ও বিচারক মণ্ডলীর একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকের মতে, রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার তুলনায় এই মঞ্চ খুবই ছোট। তা নিয়েও শান্তিরামবাবু সমালোচনা করেন। তাঁর সমালোচনা বাস্তবিক। মঞ্চের পিছনের সারিতে বসে থাকা কয়েক জন অতিথি জায়গার অভাবে চেয়ার নিয়ে গড়িয়ে পড়েন। তবে কেউ আহত হন নি। শান্তিরাম বাবু দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকেন। অনগ্রসর কল্যান বিভাগের প্রাক্তন জেলা প্রকল্প আধিকারিক দেবতোষ মণ্ডলকেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা আদিবাসী লোক সংস্কৃতি পর্ষদের সদস্য নিয়তি মাহাতো ও তৃনমুলের জেলা কোর কমিটির সদস্য নবেন্দু মাহালি একসুরে বলেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তিত হলেও এখানে পুরনো কমিটিই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।” বস্তুত কমিটিতে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের কয়েক জন রয়েছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ওই কমিটিতে না থাকায় তৃণমূল নেতৃত্বে ক্ষোভ রয়েছে। বান্দোয়ানের সিপিএমের বিধায়ক বিধায়ক সুশান্ত বেসরা বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, আদিবাসী ভাষায় পশ্চিমবঙ্গ পত্রিকা প্রকাশ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে শান্তিরামবাবু বক্তব্য রাখতে উঠে পাল্টা জবাব দেন। দুই মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সিপিএমের মানবাজার ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক সুধাংশু মাঝিকে বলতে শোনা যায়, এখানে অনুষ্ঠান হোক শান্তিরামবাবু তা চান নি। শান্তিরাম বাবুর প্রতিক্রিয়া, অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার গলদ ঢাকতে ওরা এইসব অজুহাত খাড়া করছেন । অনেকের মতে, রাজনৈতিক নেতাদের প্রকাশ্য মতানৈক্যে অনুষ্ঠানের সুর গোড়াতেই কেটে গেল।
অনগ্রসর শ্রেণি কল্যান বিভাগের পুরুলিয়া জেলার প্রকল্প আধিকারিক বিধান রায় বলেন, “এত বড় মাপের অনুষ্ঠান করার জন্য আমরা হাতে অল্প সময় পেয়েছি। তাই সব দিক গুছিয়ে ওঠা যায় নি।” আয়োজক কমিটি সুত্রে জানা গিয়েছে, দ’দিনে মোট ১৭টি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গলমহলে সন্ত্রাস চলছিল। সেই ভয় কাটিয়ে এলাকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাচ্ছে। নাচ গান নাটকের অনুষ্ঠান হচ্ছে। |