উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তুলল আরএসপি। শনিবার বিকালে শিলিগুড়ি গুরুংবস্তি হাইস্কুলে দলের ১১তম জেলা সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে আরএসপি-র বিদায়ী দার্জিলিং জেলা সম্পাদক বিনয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনিক অচলাবস্থা গুরুতর আকার ধারণ করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনিয়ম সামনে আসে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্তও হন। কিন্তু কোনও কারণ পুলিশি তদন্তে ঢিলেমির জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে দেরি হয় বলে অভিযোগ। বিনয়বাবুর কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার মধ্যেই সরকারের বদল ঘটে। হঠাৎ করে ক্ষোভ ও বিক্ষোভের চরিত্র এবং অভিমুখ পাল্টে যায়। উপাচার্যকেই নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এতে সমস্ত স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১০ সালের ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা হিসেবে গরমিলের অভিযোগে উপাচার্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলায় দিলীপবাবু আগাম জামিন পান। তবে তিনি এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি। দিলীপবাবু গোড়া থেকে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা ডিএসপি সীতারাম সিংহ তাঁর রিপোর্টে দিলীপবাবু, প্রাক্তন উপাচার্য পীযূষকান্তি সাহা-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে উল্লেখ চার্জশিট পেশের জন্য অনুমতি চেয়েছেন। ওই অনুমোদন কর্মসমিতি দিতে পারে। কিন্তু, বর্তমানে কর্মসমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তরফে তরফে আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সুগত মার্জিতের কাছে দ্রুত চার্জশিট পেশের অনুমোদন যাতে মেলে আর্জি জানিয়েছেন অনেকেই। অফিসার-শিক্ষকদের কয়েকজন জানান, চার্জশিট পেশের অনুমতি মিলতে ঢিলেমি চললে মামলাটি খারিজ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। |