ত্রিদেশীয় সিরিজটা ভারতের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা সুযোগ। শুক্রবারের ম্যাচ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, এতগুলো হারের পর ভারতীয় দল কষ্টে ছিল। এই সফরে প্রথম বার মাঠে ধোনিদের মধ্যে একটা চনমনে ভাব দেখলাম মেলবোর্নের টি-টোয়েন্টিতে। আর ওই একটা জিনিসই দলটার চেহারা একেবারে পাল্টে দিয়েছে। নতুন মুখগুলো এসেও ভারতীয় দলকে অনেক চাঙ্গা করে দিয়েছে।
আজ থেকে শুরু এক দিনের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার যে দলটা খেলবে তারা নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। সিরিজের তৃতীয় দল শ্রীলঙ্কা অবশ্য সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় খুব ভাল খেলতে পারেনি। যা দাঁড়াচ্ছে, এই সিরিজে দেশে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়ার লড়াইটা হবে গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের সঙ্গে। যাদের মধ্যে কেউই হালফিলে অসাধারণ ফর্মে নেই।
অস্ট্রেলিয়া দল থেকে শন মার্শ বাদ পড়েছে। উইকেটকিপার হিসেবে খেলবে ম্যাথু ওয়েড। এ ছাড়া দলে কোনও চমক নেই। ফর্মে থাকা বিধ্বংসী ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণের উপরও নজর রাখুন। আশা করছি ওয়ান ডে-তেও ওরা টেস্টের ছন্দ ধরে রাখতে পারবে।
রবিবার মনে হচ্ছে এমসিজি-র গ্যালারি ভরে যাবে। প্রথম টেস্টের মতো প্রথম ওয়ান ডে-র উইকেটেও বাউন্স থাকবে আশা করছি। বল ব্যাটে আসবে। ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি জেতাটা নিশ্চয়ই খুব স্বস্তির। এক একটা সময় আসে যখন একটা দল জিততেই ভুলে যায়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, মনোজ তিওয়ারিদের মতো তরুণরা ভারতীয়দের ফিল্ডিং মান অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার ওটাই তফাত গড়ে দিল। মনে হয় তরুণদের উপস্থিতিতে রবিবারও মাঠে অনেক বেশি চনমনে থাকবে ভারত। শেষ দুটো টেস্টে ওদের ফিল্ডিং অত্যন্ত সাধারণ মানের হয়েছিল। যার জন্য শুক্রবার ভারতীয়দের বলের দিকে আক্রমণ করা দেখে ভাল লাগল।
শ্রীলঙ্কা কয়েক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফর করে এল। জয়বর্ধনেকে নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদের দলের বেশ কয়েক জন কোনও দিন অস্ট্রেলিয়ায় খেলেনি। তবে কুমার সঙ্গকারা, তিলকরত্নে দিলশান, লাসিথ মালিঙ্গা আর মাহেলা নিজে সব মিলিয়ে ওদের দল বেশ শক্তিশালী। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওরা ভাল করেনি ঠিকই। কিন্তু তাই বলে ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচ পারথে। ওখানকার পরিবেশে মালিঙ্গা কেমন বল করে দেখতে মুখিয়ে আছি। টুর্নামেন্টটা বেশ লম্বা। প্রতিটা দল গ্রুপ পর্বে একে অপরের বিরুদ্ধে চারটে করে ম্যাচ খেলবে। আগেকার দিনে ত্রিদেশীয় সিরিজ যেমন হত। তবে ভাল শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কথাটা ভারতের ক্ষেত্রে বেশি করে খাটে। আশা করব সামনের কয়েক সপ্তাহে ভারতের সিনিয়ররা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। এই সফরে এখন পর্যন্ত বিধ্বংসী সহবাগকে দেখা যায়নি। তেন্ডুলকরের শততম সেঞ্চুরিও তো এখনও অধরা রয়েছে!
|