ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধি দলের সভাপতির পদ থেকে অবসর নিলে সেই পদের দাবিদার কে হবেন? এই প্রশ্ন ঘিরে ফের জল্পনা ছড়াল তামিলনাড়ুতে। দলের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের পর করুণানিধির বক্তব্যে কোনও ‘সদুত্তর’ মিলল না। দলীয় বৈঠকে করুণানিধির দুই পুত্র স্ট্যালিন এবং আলাগিরি পরস্পরের মুখোমুখি না হওয়ায় এ নিয়ে জল্পনা তীব্র হল। গত বছর বিধানসভা ভোটে তৃতীয় স্থান অধিকার করা কিংবা টুজি কাণ্ডে এ রাজা বা করুণা-কন্যা কানিমোঝির নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরও দলের পুনর্গঠনের বিষয় নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই বৈঠকে হয়নি। দলের তরফেও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
ডিএমকে-র বর্ষীয়ান নেতারা কাল দলের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকের প্রথমার্ধে আলাগিরি উপস্থিত থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন করুণানিধির অপর পুত্র স্ট্যালিন। এই দু’জনের সম্পর্ক এমনিতেই যথেষ্ট ‘মধুর’। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে কেন তাঁরা পরস্পরকে এড়িয়ে গেলেন, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়ায়।
এর পর করুণানিধি-র একটি মন্তব্য ঘিরে সেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। বৈঠকের পরে সাংবাদিকেরা স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা নিয়ে ডিএমকে প্রধান করুণানিধির মত জানতে চান। সমীক্ষাটি বলছে, ‘বেশিরভাগ দলীয় কর্মী চান, বাবার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত হন স্ট্যালিনই।’ এ কথা শুনে করুণানিধির সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমার সন্তান যদি এই সম্মানের উপযুক্ত হয়, তা হলে কি আমি তা অস্বীকার করতে পারি?” করুণানিধির এই উত্তরে স্বভাবতই স্ট্যালিন সমর্থকেরা খুশি। তাঁদের ব্যাখ্যা, স্ট্যালিনের প্রতি যে তাঁর ভরসা রয়েছে, সে কথাই ধরা পড়েছে এই মন্তব্যে।
এরই পাশাপাশি, ডিএমকে প্রধান অবশ্য বলেন, “দলের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সাংগঠনিক নির্বাচনের পরেই দলের সভাপতি নির্বাচন হবে। গোটা পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে বছর খানেক সময় লাগবে।” তবে, বিতর্কে জল ঢেলে দলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, স্ট্যালিন এবং আলাগিরি দুই ছেলেই তাঁর সমান প্রিয়। তবে, করুণানিধি-র জীবদ্দশায় তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা অর্থহীন। |