মালদহ সদর হাসপাতাল, দু’দিনে ফের মৃত ৯টি শিশু |
টানা দু’দিন কোনও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা না-ঘটায় স্বস্তিতে ছিলেন মালদহ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। গত ৪৮ ঘণ্টায় ফের ঘুম ছুটেছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের। গত ৪৮ ঘন্টায় মালদহ সদর হাসপাতালে ৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদেরও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৮টিই বাড়িতে প্রসব হয়েছে। অন্যটির জন্ম হয় জেলা সদর হাসপাতালে। জন্মের পরেই বেশির ভাগ শিশুর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিবারের লোকেরা ২০ কিলোমিটার দূরের কালিয়াচক কিংবা ২৫ কিলোমিটার দূরের মানিকচক থেকে শিশুদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিওনেটাল ইউনিটে তাঁদের রাখা হলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা নিয়ে কোনও অভিযোগও জানানো হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন ঝরিয়াত বলেন, “৪৮ ঘণ্টায় যে ৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৮টি শিশু বাড়িতে জন্ম হয়েছিল। জন্মের সময় থেকেই তাদের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা ছিল। মৃতপ্রায় অবস্থায় ওই শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।” জানুয়ারি মাসে মালদহ সদর হাসপাতালে ১২৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৯টি শিশু মারা গেল বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মালদহে আসছেন। ওই দিন তিনি মালদহ সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগ ও অন্যান্য ওয়ার্ড ঘুরে দেখবেন। জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।র সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “দুদিন হাসপাতালে শিশু মৃত্যু বনধ থাকা কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। ফের শিশুমৃত্যু শুরু হওয়ায় চিন্তায় আছি। শিশু বিভাগে ১৮ চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁরা এবং নার্সরা শিশুদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নতুন শিশু বিভাগ খুলে নার্স ও চিকিৎসক না পাঠালে মৃত্যু রোখা যাবে না।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি মিল্কি, সিলামপুর, চাঁচল ও গাজল গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নীত করে এসএনসিইউ ইউনিট খোলার প্রস্তাব স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে।
|
ফ্রাঙ্ক ওরেল ডে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিএবি-র ‘ফ্রাঙ্ক ওরেল ডে’ রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুরেও। শুক্রবার শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কৃষ্ণদাস পাল, জেলা স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ বসু, তাপস দে প্রমুখ। শিবিরে ৩ মহিলা-সহ মোট ৩৮ জন রক্ত দেন। পরে এক অনুষ্ঠানে ২০১০-’১১ সালে সিএবি পরিচালিত সিনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মেদিনীপুর জেলা ক্রিকেট দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। |