|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৫... |
|
ক্রমে শিল্পিত স্বভাব |
বইপোকা |
শ্রীমান সত্যজিৎ রায় ফিরিয়া আসিলেন এই বইমেলায়। সৌজন্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কপিরাইট-মুক্তি। না, খামখেয়ালি সভার কার্যবিবরণী লিখিতে বসি নাই। বিস্তর ‘অকিঞ্চিৎকর’ অবন-প্রকাশের মধ্যে চোখ এবং মন দুইই টানিয়া লইয়াছে সত্যজিৎ রায়ের প্রচ্ছদ, অলংকরণ ও পুস্তকসজ্জায় প্রকাশিত ক্ষীরের পুতুল (শিশু সাহিত্য সংসদ, ৫০.০০)। ১৯৪৬-এ ছবিগুলি আঁকিয়াছিলেন সত্যজিৎ, ‘পথের পাঁচালী’ তখনও সুদূর। এবং তাহার কিছু পূর্বেই পাগলা দাশু-র অলংকরণশিল্পীকে ‘শ্রীমান সত্যজিৎ রায়’ বলিয়া পরিচয় করাইয়াছেন প্রকাশক সিগনেট-এর ডিকে। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করিয়াছেন, শ্রীমান কালে অলংকরণে বিশেষ সুনাম অর্জন করিতে পারিবেন। অবন ঠাকুরের রচনার কপিরাইট সদ্য উঠিয়াছে বলিয়া এবং সন্দীপ রায়ের অনুমতিতে বঙ্গীয় গ্রন্থসমাজে বিশিষ্ট হইয়া থাকা সেই ক্ষীরের পুতুল-টি অবিকল ফিরিয়া পাওয়া গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাক, আনন্দ-র সৌজন্যে ফিরিয়াছে ‘সিগনেট’ও, সেই স্মৃতিধার্য আম আঁটির ভেঁপু, চাঁদের পাহাড় লইয়া। এই প্রত্যাবর্তন বঙ্গীয় বইপাড়ায় গ্রন্থপ্রকাশে নিষ্ঠার ধারাটি অনুসরণ করিতে প্রেরণা জোগাইলে বাংলা বইয়ের আখেরে মঙ্গল হইবে। ক্রমে সেই আলোটি আসিতেছে, প্রচ্ছদ হইতে বাঁধাই, পুস্তানি হইতে অনুচ্ছদ হইয়া উঠিতেছে শিল্পিত-স্বভাব, এমনকী ছোট প্রকাশকদের গ্রন্থেও। যুক্ত হউক নির্ভুল পাঠ-সংশোধনের বিষয়টিও। শিল্পমান-গর্বিত বহু গ্রন্থেরই ভিতরে দেখিতেছি বহু প্রমাদ। ছাপাখানার ভূতের উপর দায় চাপাইবার দিন কিন্তু বিগত। |
|
|
|
|
|