হাত পা বেঁধে বছর সাতেকের এক বালককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে সীমান্তের গ্রাম চর পিরোজপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠে বাবাকে খাবার দিতে গিয়েছিল মিলন শেখ নামে ওই বালক। তার পরে আর বাড়ি ফেরেনি। এ দিন সন্ধ্যেয় বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে একটি ঝোপের ভিতর থেকে দড়ি দিয়ে হাত-পা
|
মিলন শেখ |
বাঁধা অবস্থায় তার ক্ষত বিক্ষত দেহটি দেখতে পায় গ্রামেরই দু’জন। তারাই বাড়িতে খবর দেয়। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা চড়াও হয় এবরান শেখ নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তির বাড়িতে। পুলিশ ওই দিন রাতেই এবরামকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “দু’টি পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই বালককে হাত পা বেঁধে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এবরাম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম জানার চেষ্টা হচ্ছে।”
মিলনের বাবা মনিরুল শেখ ভাগচাষি। বিঘে তিনেক জমিতে চাষ করেন তিনি। বছর সাতেক আগে এবরামের দশ বছরের এক ভাইপোকে একই ভাবে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই এক পরিবারের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করে। সেই থেকেই ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। তবে মিলনের পরিবারের সঙ্গে এই বিবাদের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও কেন এই বালককে খুন করা হল তা পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। |
মৃত বালকের দাদু রেজাউল শেখ গ্রামের মোড়ল হিসাবে পরিচিত। রেজাউল বলেন, “দুই পরিবারের বিরোধে এবরাম আমার সমর্থন না পেয়ে সে আমার নাতিকে এই ভাবে খুন করেছে। এই খুনের সঙ্গে আরও কয়েক জন জড়িত। পুলিশকে তাদের নাম জানানো হয়েছে।” মিলনের মা রকিয়া বিবি বলেন, “পাশের গ্রামে প্রাথমিক স্কুলে এ বারই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় মিলনকে। বৃহস্পতিবার মাইল খানেক দূরে চাষের জমিতে কাজ করছিল ওর বাবা। দুপুরের খাবার নিয়ে মাঠে পাঠাই মিলনকে। বিকেলে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ খবর শুরু হয়। সেই সময়েই ঝোপের ভিতরে ওর দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর আসে।” শুক্রবার দুপুরে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ কর্তারা গ্রামে যান। |