ক্ষীরপাই পুরসভায় তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের |
সিপিএম পরিচালিত ক্ষীরপাই পুরসভার ভিতরে ঢুকে শুক্রবার দুপুরে তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। সিপিএমের সমাবেশে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ পুরকর্মীদের তারা মারধরও করে বলে অভিযোগ। গত বুধবার সিপিএমের সমাবেশ উপলক্ষে ছুটি নিয়ে মেদিনীপুর গিয়েছিলেন ক্ষীরপাই পুরসভার ৭ জন কর্মী (স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট কর্মী সংখ্যা ৩৩)। ওই দিন একদল দুষ্কৃতী পুরসভায় ঢুকে প্রশাসনিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। পরে অবশ্য তারা নিজেরাই তালা খুলে দেয়। শুক্রবার বোর্ড মিটিং চলাকালীন ফের পুরসভায় ঢুকে হামলা চালায় সেই দুষ্কৃতীরা। কর্মচারীদের তরফে বিমল মণ্ডল বলেন, “আচমকা কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় পুরসভায়। সিপিএমের সম্মেলনে কর্মীরা কেন গিয়েছিলেন জানতে চায়। সম্মেলনে না যাওয়া সত্ত্বেও আমাদের মারধর করে। নিজেদের পুরকর্মী হিসাবে নিয়োগের দাবি জানিয়ে ভাঙচুর শুরু করে দুষ্কৃতীরা।” পুরপ্রধান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন, “উপরে বোর্ড মিটিং চলছিল সেই সময়। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে তা বন্ধ করে দিতে হয়। দুষ্কৃতীরা পুরসভার একাধিক কর্মীকে মারধর করে বাইরে বার করে দেয়। শেষমেশ থানায় ফোন করতে চম্পট দেয় হামলাকারীরা।” ঘটনার পরই পুরকর্মীরা কাজ বন্ধ করে নিরাপত্তার দাবিতে চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে চেয়ারম্যান লিখিত ভাবে বিডিও ও মহকুমাশাসককে বিষয়টি জানান। এদিনই কর্মচারীরাও আলাদা ভাবে মহকুমাশাসকের দফতরে এসে লিখিত অভিযোগ জানান। মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “দোষীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।”
|
অল বেঙ্গল সেল্স রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের ৩৭ তম রাজ্য সম্মেলনের প্রচার শুরু হল সংগঠনের পক্ষ থেকে। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে একটি মোটরবাইক র্যালি হয়। সেই সঙ্গে বটতলাচক, পঞ্চুরচক ও এলআইসি মোড়ে পথসভাও করা হয়। নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বিদেশি পুঁজির আমদানির ফলে দেশ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করতে রাজ্য সম্মেলন থেকে আওয়াজ তোলা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। |