|
|
|
|
কংগ্রেসের ইঙ্গিত |
লস্কর নেতাকে এড়ানো উচিত ছিল আইয়ারের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পাকিস্তান টিভির টক-শোতে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত হাফিজ মহম্মদ সঈদের সঙ্গে মণিশঙ্কর আইয়ারের কথোপকথন নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ বলেন, “এখনও আমি বিশদে জানি না ঠিক কী হয়েছে। তবে উনি কোনও অবস্থাতেই প্রত্যক্ষে কিংবা পরোক্ষে হাফিজের কথায় সায় দেননি। কিন্তু ২৬/১১ হামলার কোনও চক্রান্তকারীর সঙ্গে কথোপকথনে জড়িয়ে না পড়াই উচিত।”
গত কাল পাকিস্তান টিভির একটি টক-শোয়ে টেলিফোনে ধরা হয় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা তথা জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সঈদকে। সঞ্চালকের এক প্রশ্নের উত্তরে হাফিজ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিরোধিতা করতে থাকেন। কেন ভারতকে বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়া উচিত নয় তাও বলেন। আইয়ার বলেন, হাফিজের মতো কিছু লোকের জন্যই দু-দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না। অথচ সাধারণ মানুষ সব সময়েই চান দু-দেশের মধ্যে শান্তি থাকুক।
এর পর হাফিজের এক কথার জেরে উত্তেজিত আইয়ার বলেন, “এমন লোককে আমরা ধরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতে বিচার করাতে চাই।” আইয়ারের কথায় হাফিজ সঙ্গে সঙ্গেই জানান, পাকিস্তানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। ভারত তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগই আনুক না কেন, পাকিস্তানের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নিরপরাধ মনে করেছে। হাফিজ বলেন, “ভারতের কাছে যে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতেরও কোনও গুরুত্ব নেই, এটা খুব দুঃখজনক। আসলে পাকিস্তানকে ভারত স্বীকার করে না।” জবাবে আইয়ার জানান, পাকিস্তান ভারতের কাছে এক লক্ষ বার গ্রহণযোগ্য। তাই ভারত চায় পাকিস্তান যেন জঙ্গিদের হাতে পড়ে ধ্বংস কিংবা বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। এতেই উত্তেজিত হন হাফিজ। সঞ্চালক তাঁর ফোন কেটে দেন। |
|
|
|
|
|