গাঁধী পরিবারের খাসতালুকের বাইরে প্রচারে বেরোনোর পরিকল্পনা নেই প্রিয়ঙ্কা বঢরার। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে তিনি আজ জানিয়ে দিলেন, দল তাঁকে অমেঠির ৫টি ও রায়বরেলীর ৫টি বিধানসভা কেন্দ্র দেখার দায়িত্ব দিয়েছে। এর বাইরে যাওয়ার কথা তিনি এখন ভাবছেন না।
পাঁচ দিনের প্রচার সফরের প্রথম দিনে কী বললেন প্রিয়ঙ্কা? মায়াবতী না মুলায়ম সিংহ যাদব, কাকে কংগ্রেসের সব চেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মনে করছেন তিনি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে গাঁধী পরিবারের কন্যার সতর্ক জবাব, “দুর্নীতিই উত্তরপ্রদেশবাসীর সব চেয়ে বড় শত্রু।” মায়া-মুলায়ম-বিজেপি, আলাদা করে কোনও পক্ষের নাম না করেই প্রিয়ঙ্কা আক্রমণ করেন ‘সুবিধাবাদের রাজনীতি’-কে। |
তাঁর কথায়, “বিগত ২২ বছর ধরে নৈরাজ্য, দুর্নীতি আর সুবিধাবাদের রাজনীতি দেখে দেখে উত্তরপ্রদেশের মানুষ এখন বীতশ্রদ্ধ। বাস্তব পরিস্থিতিটা তাঁরা আমার-আপনার চেয়ে অনেক ভালই বোঝেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মানুষ এ বার অবশ্যই পরিবর্তন আনবেন রাজ্যে। রাহুলের কঠোর পরিশ্রম ফল দেবেই।” কথায় কথায় রাজীব-তনয়া এ-ও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর আচার-আচরণে ইতিমধ্যেই হতাশা ফুটে উঠছে।” অণ্ণা হজারের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রিয়ঙ্কা সরাসরি মন্তব্য না করেও বুঝিয়ে দেন ‘গাঁধীবাদী’ এই নেতার আন্দোলনকে আদৌ আমল দিতে রাজি নন তিনি। এ বারের নির্বাচনে অণ্ণা হজারের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন, তাঁরাই এর জবাব দেবেন।” |