প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং-এ মাটি কাটার গাড়ি বা জেসিবি-এক্সক্যাভেটরে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল যাত্রিবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যা প্রায় ৫০।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, আজ সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ কামরূপের আজারা ও মির্জার মধ্যবর্তী গোঁসাইঘাঁটি এলাকায় একটি জেসিবি গাড়ি রেল লাইন পার হচ্ছিল। তখনই বঙ্গাইগাঁও-গুয়াহাটি চিলারাই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি তীব্রবেগে এসে জেসিবিতে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় বহুদূরে ছিটকে পড়ে জেসিবি গাড়িটি। ট্রেনের ইঞ্জিনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনশো মিটার এগিয়ে যায়। তার পিছনে থাকা ৫ টি কামরা লাইনচ্যূত হয়। এর মধ্যে ৪টি কামরা উল্টে যায়। সংলগ্ন রেল লাইনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোথাও কোথাও উপড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়েই আরপিএফ, জিআরপি, রেলকর্তা ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে হাজির হয়। জেসিবি চালক ধরণী কলিতা ও জেসিবিতে বসা, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থাটির সাইট ইনচার্জ বিপুল কলিতা ঘটনাস্থলেই মারা যান। অভয়াপুরী থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে আসা ট্রেন যাত্রী হীরেন সরকারের আজারা হাসপাতালে মৃত্যু হয়। |
রেলসূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ষাট কিলোমিটার। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সীতু সিংহ হাজোং বলেন, “রেলের তরফে নিহত যাত্রীর নিকটাত্মীয়কে দেড় লক্ষ টাকা, গুরুতর জখম সাতজনকে ৫০০০ ও সামান্য আহতদের ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে জেসিবিতে থাকা চালক ও সাইট ইনচার্জ-এর পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কারণ জেসিবিটি নিয়ম ভেঙে রেলপথে উঠে এসেছিল।” আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বঙ্গাইগাঁও ও গুয়াহাটি থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন-এর ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার জেরে আজারা লাইনের ট্রেনগুলি রঙিয়া দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। রাত পর্যন্ত রেল লাইন মেরামতির কাজ চলছে। |