|
|
|
|
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ |
পটেলের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রাক্তন বিমানমন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করবে না এয়ার ইন্ডিয়া। আজ এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ।
কানাডার একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করতে প্রফুল্ল পটেলকে ঘুষ দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কানাডীয়। এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে একটি চিঠি লিখেছেন পটেল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
কানাডার সংবাদপত্রটির দাবি, ২০০৭ সালে নিরাপত্তার খাতিরে যাত্রীদের চেহারা চিনতে ‘বায়োমেট্রিকস সিস্টেম’ কেনার পরিকল্পনা করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। কানাডার ক্রিপটোমেট্রিকস নামে একটি সংস্থার হয়ে ওই ‘সিস্টেম’-এর বরাত হস্তগত করার চেষ্টা করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাজিম কারিগর। নিউ ইয়র্ক, অটোয়া এবং মুম্বইয়ে ক্রিপটোমেট্রিকসের অফিস ছিল।
সংবাদপত্রটির দাবি, বিদেশে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে এখন কারিগরের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর পরিকল্পনা করেছে কানাডার পুলিশ। ক্রিপটোমেট্রিকসের এক কর্মী-সহ বেশ কয়েক জন সাক্ষী পুলিশকে জানিয়েছে, ২০০৭ সালে প্রফুল্ল পটেল ও তাঁর সহযোগী লক্ষ্মণ ধোবলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কারিগর। সাক্ষীদের দাবি, এ কথা কারিগর নিজেই তাঁদের জানিয়েছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়ার কাছ থেকে বরাত পেতে ধোবলের মাধ্যমে প্রফুল্ল পটেলকে আড়াই লক্ষ ডলার দেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছিলেন বলে পুলিশকে বলেছেন সাক্ষীরা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়া ওই সিস্টেম কেনেনি। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, এই ঘটনার কিছু দিন পরেই ক্রিপটোমেট্রিকস দেউলিয়া হয়ে যায়। পরে নিউ ইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টে কারিগরের বিরুদ্ধে মামলা করে ওই সংস্থা। তাদের অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়ার বরাত পাওয়া যাবেই ধরে নিয়ে কারিগরকে আড়াই লক্ষ ডলার দেওয়া হয়েছিল। তবে পটেল ওই টাকা হাতে পেয়েছেন কি না তার কোনও প্রমাণ পায়নি সংবাদপত্রটি। যিনি রিপোর্টটি লিখেছেন সেই সাংবাদিক স্টেফানি নোলেন আজ দিনভর টুইট করে জানিয়েছেন, পটেল ঘুষ নিয়েছেন এমন কোনও প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই এবং রিপোর্টে তেমন কিছু লেখাও হয়নি।
প্রফুল্ল পটেলের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে সংবাদপত্রটি যোগাযোগ করেছিল। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে পটেল জানান, এয়ার ইন্ডিয়ার ওই চুক্তির টেন্ডার সহ সব নথি তদন্তের জন্য যে কোনও সংস্থার হাতে তুলে দিতে তিনি রাজি। অস্বস্তি এড়াতে কানাডার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন পটেল। তাঁর দাবি, নাজিম কারিগর ক্রিপটোমেট্রিকসকে ঠকানোর জন্য এই পরিকল্পনা করেছিলেন।
শুক্রবার বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু করতে কিছু তথ্যের প্রয়োজন। বিশ্বের যে কোনও সংবাদপত্রে যে কোনও সংবাদ প্রকাশিত হতে পারে। তার ভিত্তিতে তদন্ত হতে পারে না। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় কংগ্রেসও। দলীয় মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেছেন,“ঘটনাটি পাঁচ বছরের পুরনো। যে ব্যক্তিকে ঘিরে প্রফুল্ল পটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে প্রফুল্ল পটেল নিজেই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তদন্তের রিপোর্ট পেলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|