রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের নতুন ইউনিটটির নির্মাণে ৫৬৩ কোটি টাকার দাবি জানানো হল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে।
দশ একর জায়গা জুড়ে ওই হাসপাতালটির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য আজ দিল্লিতে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রকের অন্য শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা জয়দীপ বিশ্বাস। পরে তিনি আর্থিক বিষয়টি নিয়ে দেখা করেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গেও। জয়দীপবাবু বলেন, “আগামী বাজেটে ওই হাসপাতালের জন্য ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা দরকার। না হলে কাজ এগোবে না।” ওই টাকা মঞ্জুর করার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি নোট অর্থ মন্ত্রক বিবেচনা করে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। ওই হাসপাতাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থের মধ্যে নব্বই শতাংশ দেবে কেন্দ্র। বাকি টাকা দেওয়ার কথা রাজ্যের।
বর্তমানে দু’শো শয্যা বিশিষ্ট চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে বর্হিবিভাগে রোজ গড়ে পাঁচশো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। বাংলাদেশ ও নেপাল থেকেও রোগীরা আসেন বলে দেখা গিয়েছে। আজ সুদীপবাবু বলেন, “সেই চাপ কমাতেই রাজারহাটে একটি নতুন হাসপাতাল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করছেন। মন্ত্রক চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ওই হাসপাতাল গড়ার কাজ শেষ করতে।” ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি দেখার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, জুন মাসে ওই হাসপাতালটির শিলান্যাস করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ।
মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় তিনশো ও পরের ধাপে দু’শো, মোট পাঁচশো শয্যা থাকবে ওই হাসপাতালে। হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বা বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও থাকবে। তবে একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে যে ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা ছিল, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি টাকা পেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জয়দীপবাবু বলেন, “ওই টাকায় ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। জমিটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজও হয়ে গিয়েছে। চূড়ান্ত নকশার কাজ শেষ পর্যায়ে।” |