নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিলিগুড়ি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শহরের ব্যস্ত রাস্তা হিলকার্ট রোডে জগদীশ ভবনের সামনে চলন্ত গাড়ির উপরে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ উপড়ে পড়ে। গাড়ির চালক সুব্রত রায় সামান্য জখম হয়েছেন। ঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা ধরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুর কর্মীরা সেখানে পৌঁছতে দেরি করায় শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য করাত হাতে নিয়ে গাছ কাটতে শুরু করেন। পরে পুরসভার তরফে গাছ কাটার লোকজন পৌঁছন। পে-লোডার ও একটি ক্রেনের সাহায্য ওই গাছ সরানো হয়। বেলা ১১টার পরে ওই ঘটনা ঘটলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। রুদ্রবাবু বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। একটি গাড়ি ভেঙে গিয়েছে। গাড়ির চালক সামান্য জখম হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে। গাছটি কী করে পড়ল তা দেখা হচ্ছে। পুরসভার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। যাতে সমস্ত পুরনো গাছগুলি ভাল করে নজরদারি করা হয়। গাছ দুর্বল হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।” |
এলাকার বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার ওই এলাকায় রাস্তায় নতুন আলো লাগানোর জন্য মাটি খুঁড়ে তার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে সময় গাছের কোনও শেকড় কেটে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রসের এক নেতা বলেন, “গাছটি বহুদিনের পুরনো। তার উপর মাঝে মধ্যেই মাটি খুঁড়ে তার নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছে। মঙ্গলবারও বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ হয়। সে সময় শেকড় কেটে গাছটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তার ফলেই গাছটি উপড়ে গিয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।”
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর রুমা নাথ জানান, হিলকার্ট রোডের ধার ঘেঁষে প্রচুর গাছ রয়েছে। সেগুলি ২৫ বছরেরও পুরনো। কোনও কোনওটি তারও বেশি। সেই গাছগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা দেখার জন্য বন দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বন দফতর যাতে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করেন সেটা আমরা চেষ্টা করছি। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ রেখেই কাজ করা হবে।”
জখম চালক সুব্রত জানান, এদিন তিনি গাড়ি নিয়ে দেশবন্ধু পাড়া থেকে পেট্রোল ভরার জন্য মহানন্দা মোড় লাগোয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। হিলকার্ট রোডে গাছটি তাঁর গাড়ির উপরে পড়ে। তিনি বলেন, “গাছ পড়ার সময়ে চালকের আসন থেকে পিছিয়ে যাই।” বাসিন্দারা জানান, রাস্তা ফাঁকা ছিল। বেলা ১০টার পর থেকে হিলকার্ট রোডে যান বাড়তে শুরু করে। ঘটনার পরে সেখানে বিধায়ক ছাড়াও যান কংগ্রেসের কাউন্সিলর রুমা দেবী, পুর চেয়ারম্যান নান্টু পাল এবং তৃণমূল নেতা দীপক শীল। পূর্ত দফতরের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পালকে সেখানে যায়নি। |