তিনটি ঘোড়া-সহ চোরকে পাকড়াও করে ফাঁপড়ে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মথুরাপুরে শিবগঞ্জ গ্রামে। চোরকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘোড়াগুলিকে রাখা হয়েছে একটি বেসরকারি ফার্মে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতার ময়দান এলাকা থেকে চারটি মাঝারি আকারের ঘোড়া চুরি যায়। চুরি সেগুলি ডায়মন্ড হারবারের মথুরাপুরে লালপুর-শিবগঞ্জে আনা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। আনসার শেখ নামে এক যুবকের বাড়ির পাশে বাঁধা ছিল তিনটি ঘোড়া। পুলিশের দাবি, আনসারকে জেরা করলে সে ঘোড়া চুরির কথা স্বীকার করে। জেরায় সে জানায়, ময়দান এলাকা থেকে চারটি ঘোড়া চুরি করে। এর পরে বাঘাযতীন পর্যন্ত সে ঘোড়াগুলিকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসে। |
তারপর সেখান থেকে একটি ম্যাটাডরে করে ঘোড়া নিয়ে লালপুর-শিবগঞ্জ পৌঁছয়। ম্যাটাডরের ভাড়ার টাকা না থাকায় সে একটি ঘোড়া ম্যাটাডর চালককে দিয়ে দিয়েছে। ২৮ তারিখ আনসার ও ঘোড়াগুলিকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক আনসারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘোড়ার মালিককে উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে ঘোড়াগুলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আনসার শেখ ও তিনটি ঘোড়া প্রায় ৯ কিলোমিটার হেঁটে থানায় আনা হয়। আসার সময় আনসার ঘোড়ায় চেপে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা হচ্ছিল। তাই পাহারা দিয়ে আনসার ও ঘোড়াগুলি থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু থানার আনার পরে ঘোড়াগুলিকে কী ভাবে রাখা হবে, তাদের কী খেতে দেওয়া হবে তা নিয়ে ফাঁপড়ে পড়ে যান পুলিশকর্মীরা। ২৮ তারিখ আদালতে পেশ করার পরে বিপদের আশঙ্কায় বিষয়টি বিডিওকে জানায় পুলিশ। মথুরাপুর-১ এর বিডিও দীপ্তক বসু বলেন, “ওই তিনটি ঘোড়া প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতরের মাধ্যমে একটি বেসরকারি ফার্মে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। একজন পশুচিকিৎসক ঘোড়াগুলির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।” তিনি আরও জানান, ঘোড়াগুলির মালিকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ঘোড়াগুলিকে শনাক্তকরণের পরে আইন মেনে মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। |