ফের কলেজে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নয়, কলেজের অশিক্ষক কর্মীদের বিরুদ্ধেই ছিল এই প্রতিবাদ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার শ্রী চৈতন্য কলেজে।
বিএ পার্ট ওয়ানের আবশ্যিক বিষয়গুলিতে পরীক্ষা দিলেও পরীক্ষার ফলে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও তাঁরা সমস্যা মেটাতে গড়িমসি করছেন এবং অশিক্ষক কর্মীরাও সহযোগিতা করছেন না এই অভিযোগ তুলে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মূলত বিক্ষোভ ছিল কলেজের অশিক্ষক কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁরা যাতে কলেজে থেকে বেরোতে না পারেন সে জন্যই কলেজের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন টিএমসিপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকানো হয়নি। |
হটাৎ এই ঘটনায় ব্যাহত হয় কলেজের পঠনপাঠন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তালা বেলা ২ট নাগাদ তালা খুলে দেওয়া হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, ১৯ জন ছাত্রছাত্রীর ক্ষেত্রে এই সমস্যায় দেখা দিয়েছে। তাঁরা পরীক্ষায় বসলেও পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে তাঁদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। সংগঠনের কলেজ ইউনিটের সভাপতি জয় বিশ্বাস বলেন, “অধ্যক্ষ কলেজে চালাতে ব্যর্থ। তিনি স্টাফদের ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তা ছাড়া তিনি নিয়মিত কলেজে আসেন না, ছাত্রছাত্রীদের কনসেশন ফর্মেও সই করছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “কলেজে এমন কিছু অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন যাঁরা সিপিএম সমর্থক। তাঁরা ছাত্রজের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। অযথা তাঁদের হয়রান করছেন। এ সবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই তাঁদের তালাবন্ধ রে আটকে রাখা হয়।”
কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল অবশ্য বলেন, “ওঁরা সত্যি কথা বলছেন না। কলেজে সকলের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এগজামিন কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির যাঁরা শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। তা ছাড়া হেড ক্লার্কের কাছে ওই ছাত্রছাত্রীদের আবেদন জমা রয়েছে। কিন্তু কয়েক হাজার খাতার মধ্যে ওই খাতাগুলি খুঁজে বের রতে দেরি হচ্ছে। তবে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বাস্তবে পরীক্ষা দেননি।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্দ্রমোহনবাবু বলেন, “বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এক মাস ধরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের কনসেশনের কাজ চলছে। তা ছাড়া আমি নিয়মিত কলেজে আসি।” কলেজের অশিক্ষক কর্মী ও অশোকনগর -কল্যাণগড় পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলার চিত্ত বিশ্বাস বলেন, “কোনও ছাত্র আমাদের সম্পর্কে ওই অভিযোগ করতে পারেন না। আমরা নিয়মিত কলেজে আসি। আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আমাদের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে।” |